ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জুলাই-সেপ্টেম্বরে এডিসের প্রাদুর্ভাব বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জুলাই-সেপ্টেম্বরে এডিসের প্রাদুর্ভাব বাড়বে

২০১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরেও একই সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা আছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অ‌্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি)।

এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে এ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে ডিএনসিসি ও সিডিসি।

সভায় সিডিসির প্রেজেন্টেশনে সংস্থাটির সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. খাদিজা সুলতানা বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। সারা দেশে এক মাসেই প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড হয়, যার অধিকাংশই ছিল রাজধানীতে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এবছরও একই সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।’

তিনি জানান, ১২৫টি দেশে ইতোমধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ২৫০ কোটির অধিক মানুষ অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে আছে।

এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংস্থার উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন‌্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এক বছর ধরে সেটি করছি।

তিনি বলেন, মশকনিধন কার্যক্রম আরো বেগবান করতে এরই মধ্যে ২০০টি ফগার মেশিন, ২৩৮টি পালস ফগমেশিন, ১৫০টি হার্টসন হস্তচালিত মেশিন, ৩৪০টি প্লাস্টিক হস্তচালিত মেশিন, দুটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন, ১০টি মোটরসাইকেল ফগার ও হস্তচালিত মেশিন, ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার বা পাওয়ার স্প্রে মেশিন কিনে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন কেনার পরিকল্পনা আছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১ হাজার বিঘা জলাশয়/ডোবা/পুকুরের জলজ আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করেছি, যা এখনো চলমান।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এখন জানি, কোথায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে, কোথায় এদের ঘনত্ব বেশি, কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয় ইত্যাদি। তাই এসব তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়ে আমরা বছরের শুরু থেকেই পুরোদমে কাজে নেমেছি।


ঢাকা/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়