ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাড়ছে মাস্কের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাড়ছে মাস্কের দাম

রাস্তায় বের হলে এখন শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী অনেক মানুষের মুখে মাস্ক পরা দেখা যাচ্ছে। কারো মুখে ওয়ান টাইম মাস্ক, আবার কারো মুখে চায়না মাস্ক। করোনাভাইরাসের নাম প্রকাশ হতে শুরু করার সাথে সাথেই দামও বাড়তে শুরু করেছে মাস্কের।

বাসাবো এলাকায় হেলথ এইড হাসপাতালে ঢুকছিলেন এক ব্যক্তি। তার মুখে মাস্ক পরা। করোনাভাইরাসের জন্য নয়; ধুলাবালি থেকে মুক্তির জন্য আগে থেকেই মাস্ক ব‌্যবহার করেন বলে জানান তিনি।

গত মাসে এই মাস্ক কিনেছিলেন ১০ টাকায়। এখন মাস্কটি কিনেছেন ২০ টাকায়। মগবাজার শিবিরের গলি থেকে এটি কিনেছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে ধুলোবালির জন্য পরলেও এখন করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার ফলে দামও বেড়েছে। এখন ওয়ানটাইম মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে পিস। কোথাও ১৫ টাকা ২০ টাকা। এইগুলোই বিক্রি হতো ৫ টাকায়।

চায়না মাস্ক, কয়েকদিন আগে যা ছিলো ৩০ টাকা পিস। তা এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধের দোকানে চায়না মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা সুস্থ আছেন তাদের মাস্ক পরার দরকার নেই।

আইইডিসিআর-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যারা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুধু তারাই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। তবে ঘরে ফেরার আগে ব্যবহৃত মাস্কটি মুখ ঢাকা বিনে ফেলবেন, যেন কেউ কুড়িয়ে আবার তুলে নিতে না পারে।’

বৃহস্পতিবার আইইডিসিআর সম্মেলন কক্ষে সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‌‘মানুষের দেহে ২০১৯- nCoV ভাইরাস প্রবেশের পর লক্ষণ দেখা দেয়ার আগে মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়ায় না। এর আগে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন যে, লক্ষণ দেখা দেয়ার আগে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য মানুষের দেহে ভাইরাস ছড়াতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক গবেষণা সে ধারণাকে বদলে দিয়েছে।’

কোয়ারেন্টাইন-কৃত যাত্রীদের পরিবারের সদস্য ও অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের কেউ কেউ আশকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন। আইইডিসিআর-এ অভিভাবকদের নিয়মিতভাবে প্রতিদিন বিকেল তিনটায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত তথ্য অবহিত করা হচ্ছে।’

কোয়ারেন্টাইন-কৃতদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তিন বছরের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার বাবা-মাসহ তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৯- nCoV পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আশকোনাতে কোয়ারেন্টইনে আছেন ৩০০ জন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে এক জন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আছেন ১১ জন।’


ঢাকা/সাওন/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়