চীন থেকে ফেরা বাংলাদেশিদের কয়েকটি পরামর্শ
ফাইল ফটো
চীন থেকে ফেরা বাংলাদেশিদের কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর।
শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শগুলোর বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আইইডিসিআর- এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি যে, চীন থেকে সম্প্রতি বেশ কিছু বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তারা করোনায় সংক্রমণের আশংকায় উদ্বিগ্ন। রোগ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন তারা। তাদের অবগতির জন্য আমরা পুনরায় কতিপয় তথ্য জানাচ্ছি।’
তিনি নিম্নোক্ত তথ্যাবলী জানান-
“চীনের সব প্রদেশে একই সময় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট চীন ফেরত যাত্রী যদি উহানসহ চীনের অন্য কোনো সংক্রমিত এলাকা থেকে মহামারীর ১৪ দিন আগেই এসে থাকেন, তাহলে অযথা উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই।
চীনের উহানসহ সংক্রমিত এলাকা থেকে যদি কেউ এসে থাকেন এবং ইতোমধ্যে ১৪ দিন অতিক্রম করে থাকেন, তাহলেও তার উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই।
চীনের উহানসহ সংক্রমিত এলাকা থেকে যদি কেউ এসে থাকেন, বাংলাদেশে অবস্থান ১৪ দিন অতিক্রম করেননি, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি, তারা মোট ১৪ দিন ধরে স্বেচ্ছা কোয়ারান্টাইনে থাকবেন।
চীনের উহানসহ সংক্রমিত এলাকা থেকে যদি কেউ এসে থাকেন, বাংলাদেশে অবস্থান ১৪ দিন অতিক্রম করেননি, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা গিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে আইইডিসিআর হটলাইনে ফোন করবেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ফোনে ঐ ব্যক্তির ইতিহাস নিয়ে তার জন্য প্রযোজ্য ব্যবস্থা গ্রহণে উপদেশ দেবেন।
সংশ্লিষ্ট চীন ফেরত যাত্রীদেরকে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে যে কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য আইইডিসিআর হটলাইনে ফোন করার অনুরোধ করার জানানো হচ্ছে।”
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদেরকে সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন আইইডিসিআর-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোর দেয়ার নির্দেশ
সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ফ্লোরা সকল হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গঠিত কমিটি আরো সক্রিয় করার জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি জনগণকে ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পরিচ্ছন্নতার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
কোয়ান্টাইনকৃতদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা ১১ জন এবং আশাকোনা কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে উহান ফেরত ৩০১ যাত্রীরা সুস্থ আছেন।’
যারা সুস্থ আছেন তাদের মাস্ক পরা দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুধু তারাই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। তবে ঘরে ফেরার আগে ব্যবহৃত মাস্কটি মুখঢাকা বিনে ফেলবেন, যেন কেউ কুড়িয়ে আবার তুলে নিতে না পারে।’
ঢাকা/সাওন/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন