ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আত্মহত্যা বন্ধে কফিন চিকিৎসা

শাহেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আত্মহত্যা বন্ধে কফিন চিকিৎসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ দেশগুলোর একটি হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। এই আত্মহত্যার একটি কারণ হিসেবে সেখানকার কর্মজীবীদের কাজের অতিরিক্ত চাপকে দায়ী করা হয়। তবে এই আত্মহত্যা প্রবণতা কমাতে দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের নানাভাবে জীবনের মূল্য উপলব্ধি করানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে কফিনে শুয়ে থাকার চর্চা।

 

সম্প্রতি সিউলের একটি প্রতিষ্ঠানে ১৮ জন মানুষকে এই কফিন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদেরকে তাদের চাকরিদাতারাই নিয়ে এসেছেন। কারণ তারা মনে করছেন, এই কর্মচারীদের জীবনের মূল্য বোঝা উচিত। এর মধ্য দিয়ে তারা উপলব্ধি করতে পারবেন তাদের জীবনের ভালো দিকগুলো। এই চিকিৎসার অংশ হিসেব একটি সাজানো গণ শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাদা পোশাকে আবৃত অবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রিয়জনের কাছে শেষ চিঠি লিখেছেন।

 

এরপর তারা উঠে দাঁড়ান এবং খোলা কফিনে প্রবেশ করেন। পরে কফিনের পাল্লা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ মিনিট ঘোর অন্ধকারে কাটানোর পর কফিনের পাল্লা খুলে আবার তাদের আলোর মাঝে আনা হয়।

 

কফিন থেকে বেরোনোর পর নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি। আমি ভবিষ্যতে যাই করি না কেন, তাতে আরো বেশি মনোযোগ দিতে চাই।’

 

এই কার্যক্রমের প্রধান পার্ক চুন উং জানান, তাদের কাজের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের মধ্যে একটি ঐক্যের মনোভাব তৈরি করা।

 

তিনি বলেন, ‘আমার কোম্পানি সব সময় কর্মীদের তাদের চিন্তার ধরন পরিবর্তনের উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু সত্যিকারের কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছিল না। আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি কফিনের ভেতর সময় কাটানো মানুষের মনে এমন একটি ধাক্কা দেবে যে, সে তখন তার আচরণ সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে উদ্বুদ্ধ হবে।’

 

দক্ষিণ কোরিয়ার চাকরিজীবীদের কাজের চাপ নিয়ে অনেক অভিযোগই রয়েছে। সম্প্রতি সিউল শহর কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য দুপুরবেলা এক ঘণ্টা ঘুমের সময় বরাদ্দ করেছে। তবে এই সময়টি পাওয়ার জন্য তাকে হয় এক ঘণ্টা আগে আসতে হবে নতুবা এক ঘণ্টা পরে অফিস থেকে বেরোতে হবে। তবে এ ধরনের ব্যবস্থাও খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৫/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়