‘মিশন কাশ্মীর’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার পাক-প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিবেশী ভারত।
নিউ ইয়র্কে যোগ দেওয়ার আগেই ইমরান ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাধা আসলেও তিনি জোর করে কাশ্মীর ইস্যুটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করবেন, যা হবে জাতিসংঘের ইতিহাসে রেকর্ড। জাতিসংঘের এই অধিবেশন কাশ্মীর ইস্যুতে তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।
ইমরানের এই সফরকে খোদ পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে ‘মিশন কাশ্মীর।
শনিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধি বলেছেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানের জন্য মিশন কাশ্মীর। তার (প্রধানমন্ত্রীর) বার্তা হবে স্পষ্ট : অবশ্যই দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে এবং কাশ্মীরের বিরোধ নিস্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই ইমরানের প্রথম জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান উল্লেখ করে মালিহা বলেন, ‘জাতিসংঘে তিনি হবেন কাশ্মীরের জনগণের কন্ঠ।’
এদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে প্রথমে ইমরান ও পরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইমরানের সঙ্গে ট্রাম্পের আগে দেখা হলে কৌশলগত দিক থেকে তা ভারতকে বিপাকে ফেলতে পারে কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয়ে ফেলেছে নয়া দিল্লিকে।
জাতিসংঘে ভারতকে ইমরানের তুলাধুনা করার হুমকি, আর ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির আগেই পাক প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে যে নয়া দিল্লি কিছুটা চাপের মুখে আছে তা বলাই বাহুল্য। বোঝাই যাচ্ছে, মোদির এবারের মার্কিন সফর মসৃণ হচ্ছে না।
ঢাকা/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন