সোলাইমানির জানাজায় মানুষের ঢল
ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান নিহত জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় সোমবার রাজধানী তেহরানের রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সোলাইমানিকে। রোববার ইরাক থেকে সোলাইমানির মৃতদেহ তার নিজের শহর ইরানের আহবাজে পাঠানো হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় তেহরানে। সোমবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে সোলাইমানির শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি জানাজার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
এতে দেখা গেছে, তেহরানের রাস্তা রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অনেকের হাতেই ছিল সোলাইমানির ছবি। নারীরা এসেছিলেন কালো পোশাক পরে। জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে।
জানাজা পড়ানোর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারজানির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। এসময় তাকেও কাঁদতে দেখা যায়।
আল-জাজিরার সাংবাদিক বলেছেন, ‘আজকে সর্বোচ্চ নেতাকে অত্যন্ত আবেগীসহ যে পরিস্থিতি আমরা দেখেছি তা সচরাচর দেখা যায় না। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের মধ্যেও প্রচন্ড আবেগের প্রকাশ দেখা গেছে’।
সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে।
তিনি বলেন, ‘পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে’।
ঢাকা/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন