ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করুন, নইলে মহাবিপর্যয়ে পড়ুন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ২৭ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 ‘দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করুন, নইলে মহাবিপর্যয়ে পড়ুন’

হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করে কেবল নিজেদের উন্নয়নের পেছনে খরচ করলেই চলবে না। বাঁচতে চাইলে দরিদ্র দেশগুলোকে সহযোগিতা করুন। আর নইলে পড়তে হবে মহাবিপর্যয়ের কবলে।

অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০কে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী জোফেস স্টিগলিৎজ, নিকোলাস স্টার্ন  এবং বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন ব্যাংকের সাত জন প্রধান অর্থনীতিবিদ রয়েছেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জি-২০র পদক্ষেপ কী হতে পারে তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ দরিদ্র দেশগুলোর তুলনায় ধনী দেশগুলোতেই বেশি।

জি-২০ দেশগুলোর নেতাদের কাছে লেখা চিঠিতে তারা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের থাবার কারণে ‘অকল্পনীয় স্বাস্থ্য ও সামাজিক প্রভাব’ পড়বে। ভারে ন্যূজ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সহনসীমার বাইরে নিয়ে যাবে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য, পর্যটন ও রেমিটেন্সে ধ্বসের কারণে’ দেশগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র দেশগুলো ধনীদের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ তাদের এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষমতার অভাব এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দুর্বল অবকাঠামো ও সম্পদের অভাবের কারণে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য হাত ধোয়ার সুবিধা ও সাবান একটি বড় ইস্যু।

উন্নয়নশীল দেশগুলো মানবজীবন, সামাজিক সংশ্লিষ্টতা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের নজিরবিহীন সমন্বিত হুমকির মুখোমুখি। ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে যখন মহামারির কারণে আতঙ্কিত মানুষ অভিবাসী হবে, যার কারণে সামাজিক বিপর্যয়,সহিংসতা ও নিরাপত্তা সামাল দিতে হিমশিম খাবে এই দেশগুলো।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অর্থ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তারা মহামারির প্রাদুর্ভাব ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দাবি করেছেন।

গ্লোবাল প্রিপেয়ার্ডনেস মনিটরিং বোর্ডের এই সদস্যরা অন্তত ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের জরুরি তহবিলের অনুরোধ জানিয়েছেন। যে বিস্তৃত উদ্যোগ নিতে হবে তার জন্য এই অর্থ কেবল ক্ষুদ্র একটি অংশ বলেও জানিয়েছেন তারা।


ঢাকা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়