পুলিশের নোটিশের জবাব দিলেন তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ
বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি দিল্লি পুলিশের নোটিশের জবাব দিয়েছেন। শুক্রবার আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশের নোটিসে দেওয়া ২৬টি প্রশ্নের জবাব পাঠান তিনি।
লকডাউন অমান্য করে দিল্লির নিজামাউদ্দিন মারকাজ মসজিদে ইজতেমা করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মাওলানা সাদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ওই দিনই তার কাছে জবাব চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়। অবশ্য পুলিশ দাবি করেছিল, তাবলিগের জামাতের প্রধানের কোনো খোঁজ তারা পাচ্ছেন না। ঘটনার পর সাদও আর প্রকাশ্যে আসেননি। বরং তিনি মারকাজ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত অডিও ক্লিপসে দাবি করেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন।
মাওলানা সাদের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাবার কাছে পাঠানো নোটিসের খসড়া তিনি তৈরি করেছেন। বাবার নির্দেশনা মেনেই এটি তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশের পাঠানো নোটিশে যেসব প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে, গত তিন বছরে মারকাজের আয়কর বিবরণী, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক বিবরণী ইত্যাদি।
৯ পাতার জবাবে মাওলানা সাদ জানিয়েছেন, পুলিশ যেহেতু মারকাজে তালা দিয়েছে সেহেতু এই মুহূর্তে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। মারকাজ খুললে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
লকডাউনের আদেশ ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের বিষয়ে জানার পরপর মারকাজে অতিথিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি। আমাদের কাছে প্রত্যেক অতিথির রেকর্ড আছে। সব অতিথিকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যাপারে মারকাজ সব ধরনের চেষ্টা করেছে।’
প্রসঙ্গত, পহেলা মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিজামউদ্দিনে চলেছিল তাবলিগ জামাতের ইজতেমা। এর পরেও প্রায় ১০-১২ দিন ধরে নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি। তাবলিগের এসব প্রতিনিধি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মিলিয়ে ছয় শতাধিক ব্যক্তির কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
ঢাকা/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন