ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জাপানে রোলার কোস্টারে ভয়ে চিৎকার করা যাবে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ৯ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
জাপানে রোলার কোস্টারে ভয়ে চিৎকার করা যাবে না

রোলার কোস্টারে আনন্দের চেয়ে ভয় আর উত্তেজনা বেশি থাকে। এতে চড়ে বেশিরভাগ মানুষ ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। তবে রোলার কোস্টারে ভয় যতই লাগুক না কেন, চিৎকার করা যাবে না- এমন নিয়ম করেছে জাপানের থিম পার্কগুলো।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, জাপানে লকডাউনের পর পুনরায় চালু হওয়া থিম পার্কগুলো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে রোলার কোস্টারের যাত্রীদের চিৎকার না করার জন্য বলছে। থিম পার্ক অ্যাসোসিয়েশন নতুন গাইডলাইনে দর্শনার্থীদের মাস্ক পরার পাশাপাশি চিৎকার না করার নিয়ম যুক্ত করেছে এবং বেশিরভাগ থিম পার্ক এই গাইডলাইন মেনে চলছে।

এদিকে দর্শনার্থীরা মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলতে পারলেও, কয়েক শ’ ফুট উঁচু থেকে রোলার কোস্টারে ডিগবাজি খেয়ে নিচে নামার সময় চুপচাপ থাকাটা বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে জানান। রোলার কোস্টারে চড়েও কিভাবে চুপচাপ থাকতে হবে সে ব্যাপারে দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন ফুজি-কিউ-হাইল্যান্ড নামক একটি থিম পার্কের দুজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন নির্বাহী কর্মকর্তা পার্কের ফুজিয়ামা রোলার কোস্টারে চড়ে একবারের জন্যও চিৎকার না করেই চুপচাপ রাইড শেষ করেন। ভিডিওটির ক্যাপশনের বার্তায় বলা হয়, ‘দয়া করে আপনার মনের ভেতর চিৎকার করুন।’

করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে চলমান মতবিরোধের মধ্যেই জাপানের থিম পার্কে এমন নিয়ম চালু করা হলো। অবশ্য ইতিমধ্যে যা প্রমাণিত তা হলো- গান গাওয়া বা জোড়ে কথা বলা থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, যদিও তা ইনডোর বা আবদ্ধ পরিবেশে।

ফুজি-কিউ নির্বাহীদের সতর্কবার্তা দেশটির জনসাধারণ স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে বলে জার্নাল জানিয়েছে। বেশিরভাগ দর্শনার্থী রোলার কোস্টারে চড়ার পর চিৎকার না করার চেষ্টা করছেন। তবে এই নিয়ম ভঙের জন্য কোনো শাস্তি নেই।

বিজনেস ইনসাইডারের এক খবরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে জাপান কঠোর লকডাউন বা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম প্রয়োগ করেনি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় ২০,৬০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯৮২ জন মারা গেছেন। জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা এবং সরকারের সচেতনতামূলক কার্যক্রম এই সাফল্যের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

টোকিওর ডিজনিল্যাল্ডের কয়েকজন দর্শনার্থী জার্নালকে জানান যে, রোলার কোস্টারে চিৎকার না করা কতটা কঠিন। রিকা মাতসুরা নামের একজন বলেন, ‘আপনার সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় পুনরায় আসা এবং জোরে চিৎকার ও উপভোগ করতে না পারাটা এক ধরনের অত্যাচার।’

 



পড়ুন: বিশ্ব রেকর্ডধারী ১১ রোলার কোস্টার

 

ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়