ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১২ ১৪৩১

খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজারকে হিন্দু মন্দিরের অংশ দাবি করে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজারকে হিন্দু মন্দিরের অংশ দাবি করে মামলা

ভারতের আজমিরে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজারকে হিন্দু মন্দিরের অংশ বলে দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে হিন্দু সেনা নামের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

হিন্দু সেনার দাবি, মাজারটি আগে ভগবান শ্রী সংকটমোচন মহাদেবের মন্দির ছিল। মাজারটি শিব মন্দিরের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে এবং মানুষের ইতিহাসেরও বহু আগে এখানে মন্দির ছিল। মাজারের দেয়ালে হিন্দু দেবদেবীর নিদর্শন রয়েছে। আছে স্বস্তিক চিহ্ন। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (এএসআই) দিয়ে সমীক্ষা করালেই এর দাবির সত্যতা মিলবে। তাই আজমীর দরগাকে শিব মন্দির ঘোষণা করা হোক। 

মঙ্গলবার হিন্দু সেনা প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার শুনানির মামলাটির শুনানির কথা ছিল। তবে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ নম্বরের আদালতের পরিবর্তে ভুলবশত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ কারণে মামলার শুনানি ১০ অক্টোবর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী পরে মামলাটি যথাযথ আদালতে স্থানান্তর করার অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন করেন। 

আরো পড়ুন:

আবেদনকারীর আইনজীবী শশী রঞ্জন কুমার সিং দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়েছে। আবেদনকারী দাবি করেছেন, যে সুফি মাজারটি সেখান থেকে সরানো হোক এবং বারাণসীর জ্ঞানবাপী সমীক্ষার আদলে এএসআইকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হোক। আর সেই জায়গায় একটি শিব মন্দির পুনর্নির্মাণ করা হোক।

আবেদনে বলা হয়েছে, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমিরে এসেছিলেন মুহাম্মদ ঘুরির সঙ্গে (১২-১৩ শতকে)। মুহাম্মদ ঘুরি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে হত্যা করার পরে সংকটমোচন মহাদেব মন্দিরসহ প্রচুর সংখ্যক মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। আজমিরের মাজারটির প্রধান প্রবেশদ্বারের ছাদের নকশাটি একটি হিন্দু মন্দিরের কাঠামোর আদলে তৈরি।

এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এআইএমআইএম-এর সভাপতি এবং সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ‘এটি কি সেই স্থান নয় যেখানে প্রতি বছর উরসের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাদর পাঠাচ্ছেন? মানুষ এবং সংস্থাগুলো এই ধরনের বেকার মামলা করে সংবিধানের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।’

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মুখপাত্র সৈয়দ কাসিম রসুল ইলিয়াস সমালোচনা করে বলেন, ‘আজমির দরগার মর্যাদাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি আমাদের দরগা ও মসজিদকে টার্গেট করার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়