ঢাকা     রোববার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

কে হচ্ছেন হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কে হচ্ছেন হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতা?

হাশেম সাফিউদ্দীন (বামে) এবং নাইম কাসেম (ডানে)

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি এখনও পর্যন্ত তাদের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করেনি। এর প্রধান কারণ হিসাবে বলা যায়, ১৯৯২ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন নাসরাল্লাহ। তার মতো প্রভাব রয়েছে এমন নেতা এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহর পক্ষে নির্ধারণ করা কিছুটা কঠিন। কারণ গোষ্ঠীটিকে এখন অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যাইহোক, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য এই মুহূর্তে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হচ্ছেন- হাশেম সাফিউদ্দীন এবং নাইম কাসেম। 

হাশেম সাফিউদ্দীন 

হাশেম হিজবুল্লাহর কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রধান এবং নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই। হিজবুল্লাহর পরবর্তী মহাসচিব হওয়ার দৌঁড়ে তিনি এগিয়ে আছেন বলে মনে করা হয়।

১৯৬৪ সালে টায়ারের কাছে দেইর কানুন এন-নাহরের দক্ষিণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাফিদ্দীন। তিনি ইরাকি শহর নাজাফ এবং ইরানি শহর কোমে শিয়া ধর্মীয় শিক্ষার দুটি প্রধান কেন্দ্রে নাসরুল্লাহর সাথে একসাথে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। সংগঠনের প্রথম দিকে দুজনেই হিজবুল্লাহতে যোগ দিয়েছিলেন। ইরানের সাথে সাফিউদ্দীনের নিজস্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে; তার ছেলে রেধা ২০২০ সালে মার্কিন হামলায় নিহত শীর্ষ ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছে।

কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃত্বে তার ভূমিকার পাশাপাশি, সাফিউদ্দীন গ্রুপের শুরা কাউন্সিলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং এর জিহাদি কাউন্সিলের প্রধান। এই পদ তাকে হিজবুল্লাহর বিদেশী প্রতিপক্ষের শত্রু করে তুলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব সাফিউদ্দীনকে সন্ত্রাসী মনোনীত করেছে এবং তার সম্পদ জব্দ করেছে।

নাইম কাসেম

৭১ বছর বয়সী নাইম হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল এবং প্রায়শই তাকে আন্দোলনের দ্বিতীয় নেতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

তিনি নাবাতিহ গভর্নরেটের কাফার কিলাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিয়া রাজনৈতিক সক্রিয়তায় নাইম কাসেমের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০এর দশকে তিনি প্রয়াত ইমাম মুসা আল-সদরের আন্দোলনে যোগ দেন, যা শেষ পর্যন্ত লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী আমাল আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তিনি আমাল ত্যাগ করেন এবং ১৯৮০ -এর দশকের গোড়ার দিকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন তিনি  এবং এই গোষ্ঠীর মৌলিক ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন হয়ে ওঠেন।

কাসেমের একজন ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন ব্যাপকভাবে সম্মানিত আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ হুসেইন ফাদল্লাল্লাহ। কাসেম নিজেই কয়েক দশক ধরে বৈরুতে ধর্মীয় ক্লাস নিয়েছেন। তিনি হিজবুল্লাহর শিক্ষাগত নেটওয়ার্কের অংশ তত্ত্বাবধান করতেন এবং গোষ্ঠীটির সংসদীয় কার্যক্রম তদারকিতেও জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন।

ঢাকা/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়