ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৩য় পর্ব

ব্যারিস্টার সুমনের আনন্দ-বেদনা ও স্মরণীয় ঘটনা

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৩, ২১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যারিস্টার সুমনের আনন্দ-বেদনা ও স্মরণীয় ঘটনা

মেহেদী হাসান ডালিম: ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। যিনি এখন আইনজীবী পরিচয় ছাপিয়ে ফেসবুক সেলিব্রেটি হিসেবেই পরিচিত। সমাজের নানা অসংগতি, মানুষের চারপাশের সমস্যা ও বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অনলাইন জগতে প্রতিনিয়ত ঝড় তোলেন তিনি। দু’লাখ মানুষ তাকে ফেসবুকে অনুসরণ করেন। তার প্রতিটি লাইভ লক্ষ লক্ষ ভিউজ হয়, মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। সঙ্গত কারণেই এই ব্যারিস্টার সম্পর্কে জানতে  ফেসবুক ব্যবহারকারীর তো বটেই, অনলাইন পাঠকেরও আগ্রহের শেষ নেই।  পাঠকের আগ্রহ থেকেই ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মুখোমুখি হয় রাইজিংবিডি। এই ফেসবুক তারকা কোন কাজে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান, কি   দেখলে তার মন কষ্টে ভরে যায় তা অকপটে প্রকাশ করেছেন। বলেছেন তার জীবনের স্মরণীয় ঘটনাও। ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারের তৃতীয় পর্ব।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডির সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিম।

রাইজিংবিডি: আপনি কোন কাজে সবেচেয়ে বেশি আনন্দ পান?

ব্যারিস্টার সৈয়দ সুমন: সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আমি এলাকায় গিয়ে নিজের মানুষের সাথে ফুটবল খেলি। ফুটবল খেলা উপলক্ষে মাইকিং করা হয়। অনেক মানুষ আসে। মাঝে মাঝেই পাশের উপজেলার মানুষের সাথে ফুটবল খেলা হয়, আমি নিজে যখন ফুটবল খেলি ও গোল করি তখন অনেক আনন্দ লাগে।

রাইজিংবিডি: কষ্ট পান কখন?

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: কষ্ট হয় তখন যখন দেখি মানুষ নিজের স্বার্থের কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়। নিজের সামান্য স্বার্থের কারণে দেশের ক্ষতি করে সত্যি তখন কষ্ট লাগে।

 

রাইজিংবিডি: জীবনের স্মরণীয় ঘটনা যদি বলতেন …

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: আমার জীবনের অনেক ঘটনাই স্মরণীয়। তবে আমি একটা ঘটনার কথা কখনও ভুলবো না। তা হল গত নির্বাচনে আমি আমার এলাকা থেকে এমপি প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। যখন পার্টির কাছে নমিনেশন ফরম জমা দেব ঠিক সেই সময়ে ড. ফরাস উদ্দিন নামের একজন ভদ্রলোক ফোন করে আমাকে বললেন যে, আমি এমপি হতে চাই তুমি কি আমাকে সাপোর্ট করবা। আমি একটু ভেবে বললাম, হ্যা, করবো; কারণ, আপনি আমার চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। যিনি বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন তিনিই এমপি হবেন।

আসলে লুটপাট করার জন্য তো আমি এমপি হতে চাইনি। তখন আমি আর আমার পার্টির কাছে নমিনেশন চাইনি। আমি ফেসবুক লাইভে এসে উনাকে সমর্থন করে নমিনেশনের আবেদন ফির ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উনাকে দিতে রাজি হয়েছি। এটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা। কারণ, ৫ বছর কাজ করার পর অনেকেই ভেবেছিল যে আমি এমপি হতে চাই। কিন্তু আমি এক মিনিটের মধ্যে একজন ভদ্রলোক যাকে আমি আমার চেয়ে কোয়ালিফাইড মনে করি তাকে ছেড়ে দিলাম। এটাই আমার জীবনের স্মরণীয ঘটনা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুলাই ২০১৯/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়