ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যে ক্যারিশমা দেখাবে, সেই নেতা হবে: খালিদ মাহমুদ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে ক্যারিশমা দেখাবে, সেই নেতা হবে: খালিদ মাহমুদ

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী (ছবি: রাইজিংবিডি)

উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগামী সম্মেলনে নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার কথা জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্যারিশমেটিক কিছু দেখাতে পারলে, যে কেউ নেতা হতে পারেন। তিনি যেকোনো পেশা থেকেই আসতে পারে।

তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। এটাকে এক জায়গায় কুক্ষিগত করে রাখলে হবে না। সবার এক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে। জনগণের চাহিদা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যোগ্য যে নেতৃত্ব আসবে, তাকেই গ্রহণ করা হবে।’

সম্প্রতি নিজের বাসভবনে রাইজিংবিডিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শুদ্ধি অভিযান, আওয়ামী লীগ, দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডির প্রধান প্রতিবেদক এসকে রেজা পারভেজ

রাইজিংবিডি: আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে অপেক্ষাকৃত তরুণদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: সাবেক বলে কোনো কথা নেই। রাজনীতি একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। এখানে কে কখন কি ছিল, এটি বিবেচ্য বিষয় নয়। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আওয়ামী লীগে কি ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োজন কাউন্সিরররা সেটি সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের যে লক্ষ্য এবং যে অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি; সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োজন সেই ধরনের নেতৃত্ব আসবে।

নেতৃত্ব যে শুধু ছাত্র রাজনীতি থেকে আসবে সেটি নয়। নেতৃত্ব বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে পারে। একজন সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা যদি নিজের ক্যারিশমা দেখান, তিনি একজন ভালো রাজনীতিবিদ হতে পারেন। একজন সাংবাদিক যিনি সাংবাদিক সমাজকে পরিচালিত করতে গিয়ে নেতৃত্বের ক্যারিশমা আমরা দেখতে পাই তাকেও আমরা আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল, এটাকে এক জায়গায় কুক্ষিগত করে রাখলে হবে না। সবার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে। আওয়ামী লীগে কিন্তু ৪৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কখনো তারুণ‌্য হারিয়ে যায়নি। ৭০ বছর বয়সে এসেও আওয়ামী লীগ তারুণ‌্য নির্ভর টগবগে রাজনৈতিক দল।

রাইজিংবিডি: চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণে এবারের সম্মেলনে অন্যরকম আবহে হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটা কেমন হচ্ছে?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: আওয়ামী লীগ কখনো অপরাধীদের স্থান দেয়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় অপরাধীদের রোষানলের শিকার হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশমাতৃকার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছে, এই ভূখণ্ডে কোনো রাজনৈতিক দল করেনি। আমাদের সংকল্প একটি সুস্থ রাজনৈতিক ধারা এবং সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা করা। এটা আমরা জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে টার্গেট আমরা দিয়েছি, সেজন্য নিজেদের মধ্যে শুদ্ধাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। দেশ যেহেতু উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে আমাদের চ্যালেঞ্জ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি (শেখ হাসিনা) সেটা নিজের ঘর থেকে শুরু করেছেন। আমি আশা করি তার এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তো গ্রহণ করেছে, এমনকি এই পদক্ষেপে সবাই পরিশুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ার ক্ষেত্রে নিজেকে গড়ে তুলবে, এটা আমাদের সম্মেলনে অন্যতম অঙ্গীকার।

রাইজিংবিডি: সম্মেলনের আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তর্কোন্দলের খবর আসছে। যদি এই মুহূর্তে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি মুল্যায়ন করতে বলা হয়, কীভাবে করবেন?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি বা সক্ষমতার ধারে কাছে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। যদি সমসাময়িক রাজনীতি বিশ্লেষণ করি সেটা প্রতীয়মান হবে। সাংগঠনিক দিক থেকে আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী আছি। মানুষ আমাদের এই যে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানাচ্ছে, গ্রহণ করছে, এই কারণে আওয়ামী লীগ আরো বেশি বিকশিত হচ্ছে।

রাইজিংবিডি: সম্মেলনে দেশ ও জনগণের জন্য কী বার্তা থাকছে?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই একটা বড় খবর। বাংলাদেশের রাজনীতিটা শুধু জাতীয় রাজনীতির ওপর নির্ভর করে না, আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কাজেই আমাদের শুধু রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, জাতীয়, ভূ-রাজনীতি বিষয়েই নয়, আন্তর্জাতিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই সব ধরনের বার্তাই সম্মেলনের মধ্যে থাকবে। দেশের মানুষের এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রত্যাশা মেটানোর যে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার, কাউন্সিলে সেই সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপই আসবে।

নেতৃত্বের পরিবর্তন একটি সম্মেলনের বিবেচ্য বিষয় নয়। একটা সম্মেলনে একটা রাজনৈতিক দল কীভাবে আগামী দিনের জন্য কী বক্তব্য নিয়ে আসছে, কী ধরনের চিন্তা-ভাবনা, তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি, লক্ষ্যটা কী এবং পূর্ববর্তী লক্ষের সঙ্গে আগামীর লক্ষ্যের কী ধরনের একটা একজাষ্টমেন্ট হচ্ছে; সে বিষয়গুলোই মূল বিষয়। সম্মেলনের যে মূল প্রতিপাদ্য সেটা হচ্ছে, আমরা গত তিন বছরে যে কার্যক্রমগুলো নিয়ে জনগণের সাথে যে কথাগুলো বলেছিলাম সেই কথাগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন করেছি এবং আগামী তিন বছরের জন্য আমরা কী ধরনের বার্তা দেব সেটাই হচ্ছে বড় বিষয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে সফল বলেই পরপর তিন বার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নেতৃত্বে সফল বলেই জঙ্গি সন্ত্রাস থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। যারা আইনকে চ্যালেঞ্জ করতো তারা এখন আইনকে শ্রদ্ধা করে। কাজই বলা যায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সফল।

সেই লক্ষ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরই একমাত্র সক্ষমতা রয়েছে। এটা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। আওয়ামী লীগ একটি দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল। যে বৈশিষ্ট‌্য অন্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে নেই।

রাইজিংবিডি: সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কী?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: যেসব সিটি করপোরেশন হয়েছে সেগুলো মহানগর হবে। আমাদের ইতিমধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, বিভাগীয় শহরগুলোই মহানগর হবে। এটা চলমান একটা প্রক্রিয়া। সরকারের কাঠামো পরিবর্তনের সাথে সাথে সংগঠনেরও পরিবর্তন হবে।

আমাদের যে খসড়া গঠনতন্ত্র করা হয়েছে সেখানে পদ বাড়ানোর কোনো প্রস্তাবনা দেয়া হয়নি। তবে প্রশিক্ষণ বিষয়ক একটি সম্পাদকের কথা বলা হয়েছে। এটা গতবারও দেয়া হয়েছে। তবে গ্রহণ করা হয়নি। এবার আবারও দেয়া হয়েছে।

রাইজিংবিডি: সম্মেলনে শীর্ষ দুই নেতৃত্ব নিয়ে কী ভাবছে দল?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: আমাদের তো স্থায়ী নেতৃত্ব আছেই। সেটা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার বিকল্প আওয়ামী লীগে তো নয়ই, দেশের মধ্যে তার অন্য কোনো বিকল্প নাই। কারণ তিনি এখন শুধু জাতীয় নেতা নন, ভূ-রাজনীতির আকর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে বলব- এটা আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার। যারা কাউন্সিলর, আমরা যারা থাকবো, আমরা সভাপতিকে   দায়িত্ব দেব। কারণ তিনি তার দীর্ঘ ৩৮ বছরের পথচলায়   আওয়ামী লীগ যেভাবে দেখেছেন, বুঝেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন, এর থেকে বেশি পর্যবেক্ষণ এ দলের মধ্যে আর কারো নেই। বরং তিনি অতীতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক ছিল। দলকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ছিল। সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচনা হবে।

রাইজিংবিডি: বর্তমানে দলে সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় অনুপ্রবেশ। এ নিয়ে আপনারা তালিকাও করেছেন। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শুরু করে তৃণমূলে আপনারা কতটা সতর্ক?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচুর নেতা-কর্মীর আওয়ামী লীগের প্রতি আগ্রহী সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়েছে। অতীতের রাজনীতি কারো কাছে ভুল মনে হয়েছে তারা বর্তমান নেতৃত্ব শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেই আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছ। সেক্ষেত্রে আমাদের একটা তালিকা হয়েছে। সে তালিকার মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট আছে কী না- সে ধরনের একটা পর্যবেক্ষণ আমরা চালাচ্ছি। যদি কেউ থেকে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণের জন্যই এ তালিকা।

আমাদের কনসেপ্টটা পরিষ্কার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা বিশ্বাস করে, দেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, এই ধরনের যেকোনো মানুষের আওয়ামী লীগ করার সুযোগ রয়েছে। অনুপ্রবেশকারী তারাই যারা স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, যাদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে যারা নিজেকে রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে, তারাই অনুপ্রবেশকারী।

রাইজিংবিডি: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জ অনেক। বিশেষ করে নদী দখল মহামারী আকার ধারণ করেছে। নদী বাঁচাতে পরিকল্পনা কী?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: বর্তমান সরকারের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করার টার্গেট রয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক যে নৌপথ তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। নৌপথগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌ চলাচলেল পথ সুগম করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাশাপাশি বছরের পর বছর যে নদীগুলো দখল হয়েছে, সেগুলো দখলমুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখা। এই কর্মকাণ্ডে অব্যাহত থাকলে আমরা সফল হবো।

রাইজিংবিডি: অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: রাইজিংবিডিকে এবং এর পাঠকদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ইতিবাচক সংবাদের সঙ্গে থাকুন, থাকুন রাইজিংবিডির সঙ্গে।

পরিচিতি

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ১৯৭০ সালে ৩১ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার, ধনতলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক এবং সমাজসেবক।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাত্রলীগের মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। প্রথমে স্কুল ছাত্রলীগ এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শেষ করেন।

২০০২ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব লাভ করেন। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসন প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালে জাতীয় কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মত সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার একই আসন হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ উপজেলা) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।


ঢাকা/পারভেজ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়