ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নওশাবার জামিন মঞ্জুর

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২১ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নওশাবার জামিন মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ এইচ ইমরুল কাওসার, শ্যামল কান্তি সরকার প্রমুখ আইনজীবী নওশাবার জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, নওশাবা অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তার জামিন হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে তার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

এর আগে গতকাল সোমবার নওশাবার জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে দেন।

গত ৫ আগস্ট এ আসামির চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। এরপর র‌্যাব-১ বাদী হয় মামলা করে।

মামলায় বলা হয়, নওশাবা নিজের মোবাইল হতে নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে গত ৪ আগস্ট বেলা ৪টার দিকে উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের ২ নং বাড়ি হতে অত্যন্ত আবেদনময়ী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করেন। তিনি বলেন, আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুই জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ, ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ, আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ, আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি এদেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদেরকে অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ, প্লিজ, ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখই নামবেন। আপনাদের বাচ্চাদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এটা আমার রিকোয়েস্ট। যে পুলিশরা আছে, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের প্রটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে জনগণ কীসের জন্য আছেন আপনারা? আমরা ৭১ এ পেরেছি, ৫২ তে পেরেছি, এবারও পারব। আমাদের দরকার নাই কাউকে। তার এই আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে দেশী-বিদেশী সামাজিক ও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফলে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার উৎস জানার জন্য ফোন করলে তিনি তার স্বপক্ষে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় জিগাতলায় ওই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এইরূপ মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়