সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে হাইকোর্টের রুল
মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ধারাটি (১৯৮২ সালের দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি অর্ডিনেন্সের ৪ ধারা) কেন অসাংবিধানিক, বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এছাড়া সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিষয়ে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সরকারের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। এই পাচ আইনজীবী হলেন-আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, সালাউদ্দিন রিগান, সুজাত মিয়া, মো. আমিনুল হক এবং মো. কাওছার উদ্দিন মণ্ডল।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএমএ) সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে সরকারি ডাক্তারদের সম্পূর্ণরুপে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের সকল কার্যক্রম তদারকি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে রিট আবেদনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদেরে দিয়ে সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা গঠনে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আরজি জানানো হয়।
অফিস সময়ে সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে গত ২৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
নোটিশে বলা হয়েছিল, সরকারি চিকিৎসকদের থেকে চিকিৎসা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সম্প্রতি নিজ কর্মস্থল সরকারি হাসপাতাল রেখে অনেক ডাক্তার তার ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের কর্মঘণ্টা চলাকালে সরকারি ডাক্তারদের এমন অসদাচারণ আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। তাই সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মেহেদী/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন