ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র বাদল হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। এক আসামির পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ রেজাউল কবির খান। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুজনের দণ্ড বহাল রেখে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনকে খালাস দিয়েছেন। আসামি চার জনের মধ্যে ৩ জন পলাতক। বাকি একজন জামিনে ছিলেন।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের হাওলাদারের ছেলে ফুল মিয়া হাওলাদার ও একই গ্রামের মফেজ মল্লিকের ছেলে শহিদুল মল্লিককে ফাঁসির দণ্ড দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় বহরবুনিয়া গ্রামের গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে হাওলাদার মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল ও আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে আলী আকবর হাওলাদারকে। এর মধ্যে জামিনে থাকা মনিরুজ্জামান ছাড়া বাকিরা পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামে ১৯৯৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে ফুল মিয়া হাওলাদারসহ কয়েক জন প্রতিবেশী এলাল উদ্দিনের বাড়িতে যান। এ সময়  ফুল মিয়া এলাল উদ্দিনের স্কুলপড়ুয়া ছেলে বাদলের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে নিহতের বাবা এলাল ও তার মাতা নজিরা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। এরপর বাদলের ঘরে গিয়ে খাটের ওপর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

আসামি ফুল মিয়ার সঙ্গে এলাল উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে এলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ফুল মিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ২০০১ সালের ১৯ মার্চ ফুল মিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে এক আসামি ফৌজদারি আপিল করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়