হলি আর্টিজানে হামলা মামলা: ৫ পুলিশের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

সাক্ষীরা হলেন- তৎকালীন গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: আ: আহাদ, গুলশান ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন, ঢাকা ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওবায়দুল হক, বনানী থানার এসআই মাহাবুব আলম ও বনানী থানার এএসআই মো. বিল্লাল ভুইয়া।

এ নিয়ে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে।

সাক্ষ্য নেয়ার সময় আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এদিন শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদের পক্ষে তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জামিনের বিরোধীতা করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৯/মামুন খান/ সাজেদ