এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুকও জামিন পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকশা জালিয়াতির মামলায় এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সোমবার গুলশান-২ থেকে এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

ফারুকের পক্ষে তার আইনজীবী মো. বাহারউদ্দিন জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২৯ আগস্ট ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।

এ মামলায় রোববার বিকেলে রাজধানীর বনানীস্থ কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি নেতা ও কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলামকে। সোমবার একই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে এ মামলায় গত ২৯ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) মো. সদরুল আলম গ্রেপ্তার হন। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠায় একই আদালত।

অন্যদিকে, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মামলায় গত ৩০ মার্চ আটক হন এস এম এইচ আই ফারুক। এক মাস ৫ দিন কারাভোগের পর গত ৬ মে ওই মামলায় তিনি জামিন পান। আর রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল গত ২৩ জুন আত্মসমর্পণ করে জামিন লাভ করেন।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে এফআর টাওয়ারের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রির অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫ তলার অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৯/মামুন খান/রফিক