দিনে ফেরিওয়ালা সন্ধ্যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্য
দিনের বেলায় তারা ফেরিওয়ালা। শষা, আচার, আমড়া, বরই বিক্রি করে। সন্ধ্যার পরই বদলে যায় তাদের ভোল। মুখরোচক ফল খাইয়ে কখনও আবার মলম ঢলে হাতিয়ে নেয় টাকা, মোবাইল, ঘড়ি, স্বর্ণালংকার।
ফেরিওয়ালা বেশের এমন ১০ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার বিকেলে র্যাব-১ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানার নবীনগর টু চন্দ্রা মহাসড়কে কবির সুপার মার্কেটের সামনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মো. লিটন সরকার, মো. খলিলুর রহমান, মো. রিপন মিয়া, মো. রাকিব, মো. আরমান আলী, মো. মোমিন হোসেন, মো. সবুজ খান, মো. বাবুল হোসেন বাদল, মো. মাসুদ রানা ও মো. হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭টি মলম, ৫ টি স্পেয়ার ব্লেড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দলনেতা মাসুদ রানা, বাবুল হোসেন বাদল এবং রাকিব। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী দলের অন্য সদস্যরা সাভার, আশুলিয়া, চন্দ্রা, বাইপাইল এলাকার বাসস্ট্যান্ডে শষা, বরই, গাজর, আচার, আমড়া, রুমাল, গামছা বিক্রি করে। তবে ব্যবসার আড়ালে সন্ধ্যার পর পরস্পর সংঘবদ্ধ হয়ে এগুলোর বিক্রেতা হিসেবে যাত্রীবাহী বাসে ওঠে। একই বাসে তাদের দলের সদস্যরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে যাত্রীদের টার্গেট করে পাশের সিটে বসে। এক পর্যায়ে চেতনা নাশক ওষুধ মিশ্রীত শষা, বড়ই, আচার টার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লেও অন্য যাত্রীরা সেটা বুঝতে পারে না, এ সময় পাশের সিটে বসা একই দলের সদস্যরা যাত্রীর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে সুবিধা মতো স্থানে নেমে যায়।
অপরাধীরা মাসের প্রথম দিকে বিশেষ করে ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে উৎপাত বেশি করে। গার্মেন্টস কর্মীরা বেতন পেয়ে বাসায় ফেরার পথে তাদের টার্গেট করে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয় এবং সুযোগ বুঝে বেতনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
ঢাকা/মাকসুদ/নবীন হোসেন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন