ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলিন্ডার যেন শো-পিস, রান্না হয় অবৈধ‌ গ‌্যাসে!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলিন্ডার যেন শো-পিস, রান্না হয় অবৈধ‌ গ‌্যাসে!

হোটেলের রান্নাঘরে প্রায় ৩০টির মতো গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি সাজানো। দেখলে যে কারো মনে হবে সিলিন্ডারেই বুঝি চলে বানানীর গোল্ডেন টিউলিপ-এর মতো জনপ্রিয় রেঁস্তোরার যাবতীয় রান্নার কাজ।

বাস্তবের ঘটনা ঠিক উল্টো। এখানে সাজানো সিলিন্ডারগুলো কেবলই যেন শো-পিস! আদতে মাটির নিচ থেকে গোপনে নেওয়া অবৈধ গ্যাস লাইনের গ্যাস দিয়ে চলছে রেঁস্তোরাটির রান্নাবান্না। তিতাসের এক শ্রেণির সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় হোটেল এমন অবৈধ কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে।

গত তিন বছরে দৈনিক অন্তত ৭০৫ ঘনফুট হিসাবে অর্ধ কোটি টাকার বেশি গ্যাসের অপচয় করেছে হোটেলটি।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের আকস্মিক অভিযানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ফাঁস হয়ে যায় দীর্ঘদিনের অবৈধ ব‌্যবসার মারপ‌্যাচ। দুদকের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয় গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান পরিচালনা করেন।

রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগে ওই এনফোর্সমেন্ট টিম তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন।

দুদক জানায়, প্রায় ৩০টির মত গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়েছে রেঁস্তোরাটিতে, যাতে মনে হয় এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করে হোটেলের রন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করে চালানো হচ্ছিল চুলা, গ্রিলার, স্টার বার্নারসহ বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম।

দুদক টিম আরো জানতে পারে হোটেলটি প্রায় ৩১ মাস যাবত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এতে কখনো গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পাশের একটি বাসার গ্যাস লাইন থেকে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ গ্রহণ করে দৈনিক প্রায় ৭০৫ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করে আসছিলো হোটেলটি। হিসেব করে দেখা যায় প্রায় ৫০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার গ্যাস অবৈধ ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

পরে তিতাস গ্যাসের টিম হোটেলের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে দুদকের অপর একটি এনফোর্সমেন্টটিম রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল এবং সদর ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে সিট পাওয়া এবং ট্রলি ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ডবয়দের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পায় টিম। এ সময় হাতেনাতে একজন ওয়ার্ডবয়কে আটক করে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওয়ার্ডবয়কে বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


ঢাকা/ এম এ রহমান/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়