ক্যাসিনোতে জড়িত নেপালিরাও
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার নেপথ্যে নেপালি জুয়াড়ির নাম এসেছে। তারা জুয়ার প্রশিক্ষণ, বিদেশি জুয়াড়ি সরবরাহ, অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ থেকে সবকিছু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় করেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
বুধবার ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে র্যাবের নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আালম বলেন, ‘এই ক্লাবের ক্যাসিনোর মালিকানায় আমরা এক বিদেশির নাম জানতে পেরেছি। তিনি নেপালের নরাগরিক। এছাড়া আরো কেউ জড়িত আছে কিনা- তা তদন্ত করে বের করা হবে।’
জানা গেছে, দেশীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে বিদেশিরা সিঙ্গাপুর এবং লাস ভেগাসের আদলে রাজধানীতে ক্যাসিনো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল। নেপালি ১২ জুয়াড়ির হাত ধরে বাংলাদেশে ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটে। জুয়াড়িরা হলেন দিনেশ শর্মা, রাজকুমার, বিনোদ, দিনেশ কুমার, ছোট রাজকুমার, বল্লভ, বিজয়, সুরেশ পাটেল, কৃষ্ণা, জিতেন্দ্র, নেপালি বাবা। দিনেশ শর্মা এবং রাজকুমার।
সূত্র জানায়, বাবা, বল্লভ ও বিজয় ক্যাসিনো ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও সহায়তার কাজ করে। এরা বিভিন্ন সময় এদেশে আসে। গোপনে আধুনিক ক্যাসিনোর অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করতো। ক্যাসিনোর মালিকও এদের অনেকেই। মতিঝিলের দিলকুশা এবং অ্যালিফ্যান্ট রোডের অ্যাজাক্স ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করে নেপালের নাগরিক রাজকুমার। মালিবাগের সৈনিক ক্লাবের নিয়ন্ত্রক সুরেশ ও জিতেন্দ্র। বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতো কৃষ্ণা।
অন্যরা এদের সহযোগী হিসেবে দেশে বিভিন্ন সময় ট্যুরিস্ট ভিসায় আসে এবং গোপনে ক্যাসিনো ব্যবসার প্রসার ঘটনায়। তারা গোপনে বিপুল পরিমাণ টাকা এদেশে থেকে নিয়ে গেছে। কি পরিমাণ টাকা তারা পাচার করেছে তা অনুসন্ধান করছে সিআইডি।
উল্লেখ্য, বুধবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। এরপরই ক্যসিনোর ভয়াবহতা বেরিয়ে আসে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন