ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আবরার হত্যা মামলায় প্রতিবেদন ১৩ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২০, ৮ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আবরার হত্যা মামলায় প্রতিবেদন ১৩ নভেম্বর

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করে দেন।

এদিকে এদিন মামলাটিতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম ও ইফতি মোশাররফের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আবরার নিহতের ঘটনায় তার বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) বুয়েটের ইইই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে বুয়েটের শেরেবাংলা আবাসিক হলের নিচ তলার ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। ওই হলের কিছু ছাত্র আবরারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করে হত্যা করে। বুয়েটের শেরেবাংলা হল কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের কিছু ছাত্রের সঙ্গে আলোচনা করে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে আববারের বাবা জানতে পারেন, ছাত্রবাসের ছাত্র মেহেদী হাসান রাসেল (বুয়েটের সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ), মো. অনিক সরকার, (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মো. মেহেদী হাসান রবিন (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ১৬তম ব্যাচ), মো. মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৫তম ব্যাচ), মো. মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুল রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খোন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. শামীম বিল্লা (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) ও  মুনতাসির আল জেমিসহ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)  অজ্ঞাতনামা কয়েক জন বুয়েট ছাত্র গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরারকে তার শেরেবাংলা হলের রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের রুম নম্বর ২০১১ ও ২০০৫ এর ভিতর নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও লাঠি-সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিড়িতে আবরারের মৃতদেহ ফেলে রাখে। পরবর্তীতে কিছু ছাত্র আবরারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।


ঢাকা/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়