কর্ণেল (অব.) ইসহাক মিয়ান ৭ দিনের রিমান্ডে
রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানের (৬৩) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পল্লবী থানার এসআই নূরে আলম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি তার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচার করেছেন। যা রাষ্ট্রের সার্বোভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। তার ওই কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তার এমন হীন কার্যকলাপের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা বের করে গ্রেপ্তারের লক্ষে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ একান্ত জরুরি।
রাষ্ট্রপক্ষে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শওকত আকবর আসামির রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। তার সঙ্গে থাকা সহযোগীদের বের করতে আসামির রিমান্ড প্রয়োজন।
আসামিপক্ষে কালাম খান, আব্দুল খালেক মিলনসহ কয়েকজনের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, আসামি একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার এবং একজন ক্যান্সারের রোগী, যিনি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, তা শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছেই না, সারা বিশ্বের কাছে বিশ্ময়কর। গত নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়েছে, তা কেউই বলতে পারবে না। ওই নির্বাচন নিয়ে তিনি কি ধরণের ষড়যন্ত্র করতে পারেন? তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত লোক। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। এরপর পুলিশ তার রিমান্ড চাইছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পর্যান্ত সময় পেয়েছেন তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) । এরপর যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকে, তাহলে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অসামির সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে র্যাব-৪ এর এসআই মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন খান/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন