‘মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অপমান করেছেন মনিরুজ্জামান’
মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অপমান করেছেন মনিরুজ্জামান।
মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগের মামলায় সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ মো. শহিদুল ইসলাম। রায়ের আদেশে একথা উল্লেখ করেছেন বিচারক।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল সামাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণামূলক জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার প্রদত্ত স্বীকৃতি, সুবিধা-মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রতারণামূলক উপায়ে ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেন। মিথ্যা দাবিতে তা গ্রহণ করে যাদের আত্মত্যাগে এদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অপব্যবহার তথা অপমান করেছেন। আসামির এমন অপকর্মে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়, স্বীকৃতি ও সুবিধাদি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে আসামি কোন অনুকম্পা পেতে পারে না। দেশের অন্যান্যদের জন্যও এই রায় বার্তা হিসেবে কাজ করবে।
দণ্ডিত মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও মরিয়ম বেগম ওরফে ময়না বেগম দম্পতির ছেলে।
আদালত ১৬ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৭ বছর, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর এবং জাল বলে জেনেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ চাকরি পেতে ব্যবহার করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া রায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে রায়ে সকল ধারার সাজা এক যোগে কার্যকর মর্মে আদেশ থাকায় আসামিকে ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ঢাকা/মামুন খান/জেনিস
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন