কাউন্সিলর রাজিবের তিনটি গাড়ি জব্দ
আলোচিত কাউন্সিলর ও দুর্নীতির মামলার আসামি তারিকুজ্জামান রাজিবের তিনটি গাড়ি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার আলামত হিসেবে এসব গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত গাড়ি তিনটি হলো- ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডের জিপ গাড়ি (ঢাকা মেট্রো শ-০০-০৬৬৪), রিডো ড্রাইফ ও নীল রঙের পিকআপ গাড়ি।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাড়ি তিনটি মোহাম্মাদপুরের বেরিবাঁধের ঢাকা কার পেইন্ট অ্যান্ড লেকার সেন্টার নামের একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জব্দকৃত গাড়ির মধ্যে ডিফেন্ডার (ঢাকা মেট্রো শ-০০-০৬৬৪) ব্রান্ডের জিপ গাড়িটি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। বাকি দুটি মোহাম্মদপুর থানায় রাখা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজিবের বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
রাজিবের সম্পদের বিষয়ে এহাজারে বলা হয়, তার অবৈধ সম্পত্তির মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর প্লটে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। মোহাম্মপুরের কাটাসুরের ৩ নম্বর রোডে আরেকটি প্লট আছে। এছাড়া, মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে দুটি পাঁচ তলা ও চার তলা বাড়ি, একই এলাকার চানমিয়া হাউজিং লিমিটেডে তিন তলা বাড়ি আছে তার। সাত মসজিদ হাউজিংয়ে ১৮ নম্বর (ছায়াবিথি) চার তলা বাড়ির মালিক ইয়াছিন হাওলাদার, যিনি রাজিবের চাচা। রাজিব অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ এসব বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়। এসব বাড়ির প্রকৃত মালিক তারিকুজ্জামান রাজিব।
সিলিকন হাউজিংয়ের শেয়ার হোল্ডার এবং শ্যামলাপুর ওয়েস্টার্ন সিটি লিমিটেডের পরিচালক রাজিবের নামে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৬ নম্বর রোডে ছয় কাঠা জমি আছে।
এজাহারে আরো বলা হয়, রাজিবের চাচা ইয়াছিন হাওলাদার রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এর বাইরে তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না। যদিও তিনি বর্তমানে নিজেকে ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেন। তারিকুজ্জামান রাজিব নিজের নামে এবং তার চাচা ইয়াছিন হাওলাদার ও অন্যদের নামে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখে ভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করছেন। এসব সম্পদের তথ্য তিনি আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি এবং আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।
ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন