ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ক্যাসিনোসহ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত সাঈদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্যাসিনোসহ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত সাঈদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের চার কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে এসব অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। এ অভিযোগে বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামি সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা এবং অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ চার কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকা অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছেন। এ কারণে মামলায় সাঈদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(২) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে আরো বলা হয়, ‘আাসামি মমিনুল হক সাঈদ প্রকৃতপক্ষে ক্যাসিনো ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় নামে বেনামে দেশে এবং দেশের বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ অর্জন করেছেন। উক্ত সম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ প্রক্রিয়া জটিল ও সময় সাপেক্ষ বিধায় তদন্তকালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আওতায় তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।"

এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে আসামির অবৈধ সম্পদের আওতায় আনা হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সাঈদের স্ত্রী, সন্তান বা তার সংশ্লিষ্ট অন্য কারো নামে আরো সম্পদ অর্জন করেছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে আইন আমলে নেওয়া হবে বলেও মামলায় বলা হয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে রয়েছে ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান ও যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা করে দুদক।

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গ্রেপ্তার হন অনেকে। তাদের মুখ থেকেই বের হয় ক্যাসিনো-কাণ্ডের হোতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। এরপর থেকেই তিনি পলাতক।

ফকিরাপুল ও আরামবাগের অনেকেই তাকে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামে চেনেন। ২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেন তিনি।

এছাড়া আরো চারটি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সাঈদের নিয়ন্ত্রণে। গত ১৭ অক্টোবর তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়।


ঢাকা/এম এ রহমান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়