ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আবরার হত্যা : চার্জ শুনানি ৩০ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আবরার হত্যা : চার্জ শুনানি ৩০ জানুয়ারি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় ২৫ আসামির চার্জ শুনানির জন‌্য আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ৩০২ ধারায় পরিবর্তে ৩০৪ ধারায় চার্জশিট আমলে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে ৩০২ ধারায় চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, ও মুজতবা রাফিদ। আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে আছেন। আর প্রথম ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৮ নভেম্বর ডিবি পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা সিএমএম আদালত। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত‌্যা করেন।

এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা।

 

ঢাকা/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়