ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘কিছু ব্যক্তি ইজিপি ম্যানিপুলেট করছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কিছু ব্যক্তি ইজিপি ম্যানিপুলেট করছে’

কিছু ব্যক্তি ইজিপিকে ম্যানিপুলেট করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইমের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। কারণ কমিশন যেসব ই-গভার্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে কতিপয় ব্যক্তি ম্যানিপুলেট (বিকৃত) করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করছে। অপরাধীরা সুকৌশলে ইজিপি প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে এসব অপরাধ করছে। এসব অপরাধীদের কারণেই একই ঠিকাদার অধিকাংশ সরকারি কাজ পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই  ই-জিপি প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় দুর্নীতির সাথে জড়িত বেশকিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদার গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদেও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশের স্বার্থেই এর ফাঁক-ফোঁকড় বন্ধ করা সমীচীন।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতা চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাসমূহকে কিভাবে সংযোজন করা যায়, যাতে পদ্ধতিগতভাবেই দুর্নীতির সুযোগ রুদ্ধ হয়ে যায়- এ বিষয়ে আপনারাও জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা করতে পারেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ২০১৬ সালে আমরা কমিশনের দায়িত্ব নিয়েই জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেডে সহযোগিতায় দেশের বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম, শিক্ষক-সিভিল সোসাইটি, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগীসংস্থাসহ সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করি (২০১৭-২০২১)। ২০২১ সালেই এ কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই আগামী বছরেই কমিশনের নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সংস্কারে যেমন কমিশন ভূমিকা রাখছে, তেমনি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে মামলা করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রতিরোধমূলক অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে। কমিশনের কর্মকর্তাদের তদন্ত কর্মকৌশল, জিজ্ঞাসাবাদ টেকনিকসহ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের সৃজনশীল এবং বিশ্বব্যাপী অনুসৃত কৌশলসমূহ আমাদের দেশের অপরধীদের নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইমের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অফিসা ড্যানিলো রিজ্জি বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইম একটি জ্ঞানভিত্তিক অফিস। এর বিশাল জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আজকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক। ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ‌্যান্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) ও দুদক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব ইস্যুতে কাজ করতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়