ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

হতাশ দুদক প্রধান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হতাশ দুদক প্রধান

ফাইল ফটো

‘জন আকাক্ষা অনুসারে দুর্নীতির প্রকোপ কমেনি, যে কারণে কখনো কখনো হতাশা অনুভব করেন’ বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ‘প্রিভেন্টিং করাপশন টু এস্টাবলিশ গভর্নেন্স : রোল অব পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনাপরশিপ’ শীর্ষক এক স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুদকের মামলার আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি। সেসময় হাজারেরও বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা ভেবেছিলাম এতে দুর্নীতি হয়তো কাঙ্খিত মাত্রায় কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনআকাক্ষা অনুসারে দুর্নীতির প্রকোপ কমেনি। একারণেই আমরা কখনো কখনো কিছুটা হলেও হতাশা অনুভব করি।’

তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত পরিণত মানুষের চিন্ত-চেতনা ও মানসিকতার পরিবর্তন করা সত্যিই জটিল। কারণ কোনো কোনো পরিণত মানুষ ঠান্ডা মাথায় অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং অপরাধের পক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করান। এদের নিয়ন্ত্রণে কমিশন দমনমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মাঝে নৈতিকমূল্যবোধ জাগিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার কৌশল গ্রহণ করেছে।’

কৌশলের অংশ হিসেবেই দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা হয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের অধিকাংশ অর্থই এই তরুণদের পিছনে ব্যয় করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যদি ১০ হাজার নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করা যায়, তা হবে এ দেশের এক অমূল্য সম্পদ।’

তিনি বলেন, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা, কালচারাল শো-সহ এজাতীয় কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীদের মননে উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী গ্রোথিত করা চেষ্টার করা হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, শিক্ষার সৌন্দর্য হলো কোনটি সঠিক এবং কোনটি ভুল তা নির্ণয় করার সক্ষমতা অর্জন করা।’

‘দুর্নীতির কোনো সার্বজনীন সংজ্ঞা পাওয়া যায় না’ উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘অনেকে মনে করেন বিবেকের বাইরে কিছু করাই দুর্নীতি। লোভই মানুষকে বিবেকের বাইরে নিয়ে যায়। সম্পদ বানানোর এই লোভকে নিবারণ করতে হবে। কথায় আছে, “দেহ খায় পোকে, আর সম্পদ খায় লোকে।” তাই আমার অনুরোধ সম্পদের মোহে বিবেকের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করবেন না। এ সম্পদ আপনি হয়তো ভোগ করতেই পারবেন না।’

এসময় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কান্ট্রি ডিরেক্টর ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জুলিয়ান ফ্রান্সিস ওবিই, অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, নাট্য অভিনেতা আজিজুল হাকিম, শহীদুজ্জামান সেলিম, দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।

দেশের ৪৯৩টি উপজেলার ২৬ হাজার ২১৩টি বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।


ঢাকা/এম এ রহমান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়