পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা : প্রতিবেদন ২৪ মার্চ
রাজধানীর মিরপুর পুলিশলাইনে নায়েক শাহ মো. আবদুল কুদ্দুসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২৪ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি আবদুল কুদ্দুসের মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন এবং শাশুড়ি রুনিয়া বেগমকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। সারাক্ষণ ফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ হয়। পরে সমঝোতা হয়। কিন্তু নাহিন এরপরও পরকীয়া চালিয়ে যায়। আবদুল কুদ্দুস তার শাশুড়িকে এ বিষয়ে জানালে ভিকটিমের পরিবারকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখায় এবং চাকরি হারানোর ভয় দেখায়। মূলত তাদের কারণে আবদুল কুদ্দুস আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মিরপুর পুলিশলাইনে আবদুল কুদ্দুস নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে ডিউটির জন্য বের হন। পরে পুলিশলাইনের মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জের রসুলপুরে। বাবার নাম শাহ মো. আবদুল ওয়াহাব (মৃত)।
মৃত্যুর আগে ওই পুলিশ সদস্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ওই স্ট্যাটাসে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করলেও স্ত্রী ও শাশুড়ির নামে ভিন্ন কথা লিখেছেন।
ঢাকা/মামুন খান/জেনিস
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন