ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ওসিসহ আটজনের মামলা তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওসিসহ আটজনের মামলা তদন্তের নির্দেশ

অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করেও মামলা না নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এদিন সকালে মাসিক পত্রিকা ‘মানবাধিকার খবর’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাভার থানার ওসি এফ এম শাহেদ হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভার থানাধীন ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক, অপহরণকারী বৃষ্টি, তার স্বামী সুধাংশু রায়, নয়ন কুমার ও রণিসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর সঙ্গে গত বছর ডিসেম্বরে আসামি বৃষ্টির ফেসবুকে পরিচয়। তিনি বাদীকে বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলেন। বাদী মানবাধিকারকর্মী হওয়ায় তার কাছে সহায়তা চান এবং সরেজমিনে অসহায়ত্ব দেখে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বাদী সরল বিশ্বাসে বৃষ্টির কথামতো গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাভার বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেমায়েতপুরস্থ বালুর মাঠে সোহরাব হোসেনের বাড়িতে দুপুর ১টার দিকে যান। সেখানে তিন-চারটি ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে তাকে বেঁধে মারধর শুরু করেন এবং তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেন। এরপর নির্যাতন করে এটিএম কার্ড ও বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে ৬ হাজার টাকা তুলে নেন। এরপর বাদীর মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্নজনকে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে বেলা ৪টার দিকে বাদীকে সাভার এলাকায় ছেড়ে দেন। এরপর বাদী সাভার থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।

আসামি এনামুল হক (ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক) ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করেন এবং সবকিছু উদ্ধার করে বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রণি ও অজ্ঞাত এক নারীকে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় আসার পর মামলার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে পুলিশ বাদীকে আসামিদের সাথে সমঝোতা করতে বলেন। না করলে উল্টো ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদীকে আদালতে চালান দেয়ার ভয় দেখান এবং বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে থানা ছাড়তে বাধ্য করেন। পরে বাদী জানতে পারেন যে, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক। তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান, প্রিয়লাল সাহা, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি জানান, এই ঘটনায় বাদী ঢাকার পুলিশ সুপারের কাছেও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।


ঢাকা/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়