ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ব্যক্তির অন্যায়কে সমর্থন দিলে সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ১৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ব্যক্তির অন্যায়কে সমর্থন দিলে সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন’

সরকার বা রাষ্ট্র যদি ব্যক্তির অন্যায় কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি বা একজন পদধারী রাষ্ট্র বা সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করে না। ওই ব্যক্তি বা পদধারী যদি কোনো অন্যায় করে থাকে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকার যদি তাকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন। আর সরকার বা রাষ্ট্র যদি ব্যক্তির অন্যায় কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন।’

সোমবার (১৬ মার্চ) কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ওই ঘটনার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। উনি বলেছেন, ডিসি যদি অপরাধ করে তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। আমরা উনার বক্তব্যের প্রসংশা করছি।’

শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারাই সমাজের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয়। কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘সংবাদ পত্র হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ (সাংবাদিকরা) যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রাষ্ট্রের বাকি তিন স্তম্ভ (আইন সভা,নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে।’

শুনানি শেষে আদালত মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুলকে সাজার মামলার নথি তলব করেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার (২৩ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত।

রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্রাচার্য।



ঢাকা/মেহেদী/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়