ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৫৯ কোটি আত্মসাৎ: রাশেদ চিশতীর জামিন স্থগিতই থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২৮ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
১৫৯ কোটি আত্মসাৎ: রাশেদ চিশতীর জামিন স্থগিতই থাকবে

১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে দেওয়া জামিন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাশেদ চিশতীর পক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

পরে খুরশিদ আলম খান রাইজিংবিডিকে জানান, ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, রাশেদ চিশতীর জামিন কোর্ট খোলার পর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

এর আগে গত ২০ মে ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে দেওয়া জামিন ২৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট।

ওইদিন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রাইজিংবিডিকে বলেছিলেন, ১৯ মে রাশেদ চিশতীকে ঢাকার ভার্চুয়াল নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আমরা ভার্চুয়াল হাইকোর্টে আবেদন করি। হাইকোর্ট তার জামিন স্থগিত করেছেন।

২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ (বাবুল চিশতী) মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও চাকরিচ্যুত ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুনীর্তি দমন কমিশন।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এ মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা ওই ২৫টি হিসাবে স্থানান্তর করেছেন। এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, লেনদেনের একটি বড় অংশই হয়েছে গুলশান শাখা থেকে। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বখশীগঞ্জ জুট স্পিনার্সের চলতি হিসাবে গুলশান প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর পুরোটাই নগদে তুলে নেওয়া হয়। বাকি ২১ কোটি টাকা বিভিন্ন হিসাব থেকে লেনদেন হয়। মামলার পরপরই চিশতীসহ চারজনকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক। অন্য তিনজন হলেন চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।



ঢাকা/মেহেদী/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়