ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

রেনুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশায় পরিবার

মামুন খান  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
রেনুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশায় পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু নামে মধ্যবয়সী এক নারী। বিষয়টি নিয়ে তখন দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নৃশংস হত্যার বিচারের দাবি ওঠে সর্বত্র। 

রেনুর স্বজনরা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে পাঁচ বছরের অধিক সময়। রায়ের পর্যায়ে এসে আলোচিত এ মামলাটি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রায়ের জন্য রয়েছে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার অপেক্ষায় রেনুর স্বজনেরা।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু । এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।

ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে হত্যা মামলাটি বিচারাধীন। সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমা বলেন, ‘আমার বোনটাকে কী নির্মমভাবে মেরেছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। সমাজে একটা উদাহরণ হয়ে থাকে যেন। তাদের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করছি।’

নাসির উদ্দিন টিটু বলেন, ‘পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। অবশেষে মামলাটা রায়ের পর্যায়ে এসেছে। আমাদের আশা, এমন একটা রায় হবে যেখানে একটা বার্তা বা ম্যাসেজ থাকে। আর যেন কারো সাথে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে। আমরা এখনো ট্রমার মধ্যে আছি। রায়টা রায়ের মত হলে ট্রমাটা কেটে যাবে। আমরা দোষীদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট চাই। এর মাধ্যমে একটা বার্তা বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।’

রায় শুনতে মাহিন আর তুবা আদালতে যাবেন বলেও জানান নাসির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন। 

মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, মামলা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়ছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কাজেই তারা খালাস পাবেন এমন আশা করছি।

এদিকে দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।

ঢাকা/মামুন/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়