ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিশুর ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে

ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশুর ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে

প্রতীকী ছবি

ঝুমকি বসু : সন্তানকে মোটাসোটা করতে জোর করে করে খাবার খাওয়াচ্ছেন? একটু পর পর খাবারের প্লেট নিয়ে শিশুর সামনে ধরছেন? কিংবা আপনার সন্তান মোটাসোটা নয় বলে চিন্তায় ঘুম হচ্ছে না?

আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন মোটাসোটা শিশু দেখতে ভালো লাগলেও, স্বাস্থ্যের পক্ষে তা মোটেই ভালো নয়। শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের অসুখের মতো রোগের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। আজকাল আমাদের দেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখ। ছোট বয়স থেকেই বাড়তি ওজনের কারণে অল্প বয়সে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে শরীরে।

বেশিরভাগ বাবা-মায়ের ধারণা গোলগাল শিশু মানেই সুস্থ শিশু। এখন এই ধারণা বদলানোর সময় চলে এসেছে। এই কথা আজ পরীক্ষিত সত্য যে শিশু বয়সের অতিরিক্ত ওজন একদিকে যেমন ডায়াবেটিস ডেকে আনছে, অন্যদিকে এই বাড়তি ওজন রক্তচাপ এবং রক্তের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে শিশুর ওজন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে অভিভাবকদের।

কীভাবে বুঝবেন শিশুর ওজন বেশি?
শিশুর দেহ ভর সূচক বা বিএমআই ২৫ বা তার বেশি হলে বুঝতে হবে তার ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি। আপনি নিজেই এটি বের করতে পারবেন। শিশুর ওজন কেজিতে মাপুন। তারপর উচ্চতা মাপুন সেন্টিমিটারে। এরপর ওজনকে উচ্চতা দিয়ে ভাগ করলেই বের হয়ে যাবে বিএমআই।

কেন ওজন বেড়ে যায়?
বাড়তি মেদ জমার কারণগুলো হল ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, একটানা বসে পড়াশুনা, টিভি দেখা, কম্পিউটারে গেম খেলা এবং বংশগত ইতিহাস।

কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন অতিরিক্ত ওজন?
* প্যাকেটজাত খাবার, আইসক্রিম, চকলেট, কেক, ফার্স্টফুডের পরিবর্তে শিশুকে ফল, ওটস, রুটি, চিড়া, খই, পাউরুটি খেতে দিন।

* সফট ড্রিঙ্কসের বদলে ডাবের পানি, লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* এমনভাবে প্রতিদিন খাবারের প্লেট সাজান যেন তার ৫০ শতাংশ থাকে বিভিন্ন সবজি, সালাদ, ফল, ২৫ শতাংশ ভাত বা রুটি এবং বাকি ২৫ শতাংশ ডাল, মাংস, মাছের মতো উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ প্রোটিন।

* ভাজাপোড়া, মিষ্টি যতটা সম্ভব কম দিন।

* শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, ভালো থাকতে হলে গা ঘামিয়ে খেলতে হবে নিয়মিত।

* সাইকেল চালানোর অভ্যাসে উৎসাহ দিন।

* প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি টিভি বা কম্পিউটার দেখতে দেবেন না।

* শিশুর খিদে পেলে তবেই তাকে খাওয়ান, জোর করে খাওয়াবেন না।

* বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কী না তা মাঝেমাঝেই পরীক্ষা করান।

* শিশুকে ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা শেখান। ছোট থেকেই ওকে চিনে নিতে সাহায্য করুন কোনটা ভালো এবং কোনটা খারাপ খাবার।

* শিশুর ওজন অতিরিক্ত মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ     

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়