ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কখন ভাববেন চাকরিটা ছাড়া উচিত

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কখন ভাববেন চাকরিটা ছাড়া উচিত

অতিরিক্ত কাজের চাপ, অফিসের অব্যবস্থাপনা- এসব কারণে চাকরি ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছে জাগে অনেকের মনে। তবে চাকরি ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ আদৌ তৈরি হয়েছে কিনা বা চাকরি ছাড়া ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন বেশিরভাগ চাকরিজীবী।

এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। যেমন- 

* ছুটির আগে যদি অফিসে পরবর্তী দিনের কথা ভেবে আতঙ্কে ভোগেন।

* প্রতিদিন যদি আপনার পক্ষে কাজে মনোযোগ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং আপনার মধ্যে ধীর গতি চলে আসে।

* কাজ বা অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আর আগ্রহ খুঁজে না পেলে।

* অফিসে বেশিরভাগ সময় যদি অফিসের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সহকর্মীদের মাঝে সমালোচনা হয়।

* অফিসের মিটিংগুলোতে যদি ধারাবাহিকভাবে আপনার কথা বলার সুযোগ না থাকে বা কথা বলতে আপনি অনাগ্রহ বোধ করেন। 

* সহকর্মীদের সাথে দিন দিন আপনার কথাবার্তা কমে যেতে থাকলে।

* ক্যাজুয়াল, মেডিকেলসহ সব ছুটি যদি আপনি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করে ফেলেন।

এছাড়া চাকরি ছাড়ার আরো কিছু কারণ বিবেচনা করতে পারেন আপনি। সেগুলো হলো-

বসের রূঢ় আচরণ: প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্তদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঝে মাঝে রূঢ় আচরণ করেন। ব্যাপারটি হঠাৎ দু’একদিন হলে সহনীয়। তাতে বিরক্ত হবেন না। পরিস্থিতি বুঝে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিন। কিন্তু এরপরও যদি বস ঘন ঘন আপনার সাথে রূঢ় আচরণ করেন, তাহলে চাকরি ছাড়ার চিন্তা মাথায় আনতে পারেন।

অপর্যাপ্ত বেতন: প্রয়োজনের খাতিরে হয়তো অল্প বেতনেই চাকরিটা নিয়েছিলেন আপনি। তবে এখন সময় পাল্টেছে। জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালাও হয়তো বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আগের বেতনে চলছে না আর। এমন পরিস্থিতিতে ভালো বেতনের নতুন চাকরি খুঁজতেই পারেন আপনি।

বেতন আটকে গেলে: বিষয়টা জটিল। কোম্পানির দুঃসময়ে এক দুই মাস যদি আপনি বেতন না পান, তাহলে ধার করে পরিস্থিতি সামলে উঠুন। তবে এ সমস্যা যদি তিন মাসের বেশি থাকে, তাহলে অন্য চাকরি খুঁজুন। কারণ মূলত এই বেতনের জন্যই চাকরি করছেন আপনি।

সহকর্মীর সাথে মনোমালিন্য: কর্মক্ষেত্রে যেহেতু দিনের বেশিরভাগ সময় এক সাথে কাজ করতে হয়, তাই সহকর্মীদের সাথে কোনো না কেনো বিষয়ে আপনার মনোমালিন্য হতে পারে। প্রথমে তা সামলে নিন। কিন্তু যদি বিষয়টি সবসময়ের জন্য হয়, তাহলে বসের মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুন। তাতেও ব্যর্থ হলে চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে পারেন আপনি।

চাকরি ছাড়াই শেষ কথা নয়

আপনাকে এটা ভেবে দেখতে হবে, যেসব কারণে আপনি চাকরি ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন, অন্য প্রতিষ্ঠানেও সেসব কারণ ঘটতে পারে। তাই ভালো প্রতিষ্ঠান হলে আপনাকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দু’বার ভাবতে হবে। নিজের উদ্যোগে, উর্ধ্বতন বসের উদ্যোগে যদি সমস্যাগুলোর সমাধান করতে না পারেন, এরপরই চাকরি ছাড়ার কথা ভাবা যেতে পারে। তবে অবশ্যই কাজটি করতে হবে গোপনে। চাকরি ছাড়ার আগে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। যেমন-

* অন্তত তিন মাসের খরচ নিজের কাছে জমা রাখুন।

* চাকরি করা অবস্থাতেই নতুন সিভি তৈরি করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দিন।

* চাকরি ছেড়ে দেয়ার আগে কোথাও খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে কিনা খোঁজ নিন।

 

ঢাকা/ফিরোজ/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়