বজলুর রহমানের লেখনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে দৈনিক সংবাদের প্রয়াত সম্পাদক বজলুর রহমানের লেখনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, দেশবরেণ্য খ্যাতনামা সাংবাদিক ও ‘দৈনিক সংবাদ’-এর সম্পাদক প্রয়াত বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে আমৃত্যু গণমাধ্যমের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যমসমূহ যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পরিশ্রমী, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও নির্মাতাদের বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যা সত্যিই অনন্য।

স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বজলুর রহমান আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। তিনি ছিলেন সৎ, নির্ভীক এবং দৃঢ়চেতা সাংবাদিক। ইতিহাস, সাহিত্য ও দর্শন সব ক্ষেত্রেই তার ছিল সরব পদচারণা। শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কাজ করে গেছেন সংস্কৃতিমনা সাংবাদিক বজলুর রহমান। তার কর্মদক্ষতা ও স্বদেশপ্রেম সাংবাদিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য উচ্চতায়।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল, সৎ ও যোগ্য সাংবাদিক তৈরিতে বজলুর রহমানের আদর্শ সাংবাদিক সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে। সাংবাদিক ও নির্মাতাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য গৌরবগাঁথা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী সভায় সভাপতিত্ব করেন। বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে স্পিকারের কাছ থেকে কালেরকণ্ঠের যশোর প্রতিনিধি ফখরে আলম প্রিন্ট মিডিয়ায় এবং একাত্তর টিভির সাংবাদিক শিল্পী মহলা নবিশ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পদক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হোসাইন।

রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/১১ এ‌প্রিল ২০১৯/আসাদ/সাইফ