ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে আড়াইলাখ মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ২০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে আড়াইলাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির রোধে বরগুনায় আড়াই লাখ স্থানীয় অধিবাসীকে আশ্রমকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলার ৬১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এসব স্থানীয় অধিবাসীরা অবস্থান করছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য জেলায় ৬১৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯০ টি, আমতলী উপজেলায় ৯৭টি, পাথরঘাটা উপজেলায় ১০২টি বেতাগী উপজেলায় বেতাগী উপজেলায় ১১৪টি, বামনা উপজেলায় ৪৭টি এবং তালতলী উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র।

এসব আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে সদর উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৮২৯ জন স্থানীয় অধিবাসী। আমতলী উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৭০ জন স্থানীয় অধিবাসী। পাথরঘাটা উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন ৪১ হাজার ২০ জন অধিবাসী। এছাড়া বেতাগী উপজেলায় আশ্রয়গ্রহণ করেছেন ৩৬ হাজার ৬০ জন স্থানীয় অধিবাসী।

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত তালতলী উপজেলার ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার স্থানীয় অধিবাসী আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও আমরা এখনো যারা আশ্রয় গ্রহণ করেননি তাদের খুঁজে বের করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা তালতলীতে সময় যত গড়াচ্ছে ততোই আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই এখনো আমরা সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪১ স্থানীয় অধিবাসীকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ মাস্ক বিতরণ করেছি। এছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য শুকনো খাবারের পাশাপাশি খিচুড়িও বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি অধিবাসীকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে যারা অবস্থান নিয়েছে তাদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই জেলার ৪ লাখ অধিবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।


বরগুনা/রুদ্র রুহান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়