ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।  জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজোন করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন।  তার গৃহীত সব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে।

দিনটি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য একটি বিশেষ দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতে পারছি।  আমাদের জাতির পিতা শুধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি একজন সফল ক্রীড়াবিদ-সংগঠক ছিলেন।  তাই এ মাহেন্দ্রক্ষণ ঘিরে আমরা নানা বর্ণিল কর্মসূচির আয়োজন করেছি।  যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে কিছু প্রোগ্রাম স্থগিত করা হয়েছে।  তবে সমস্যা কেটে গেলে আমরা গৃহীত সব কার্যক্রম শেষ করবো।  সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ বছরে আমরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে নতুন রূপে সাজাবো।  এ জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে নয়, বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে মুজিব বর্ষে প্রায় দুই লাখ যুবককে সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হবে।  এ ঋণের সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা দিয়ে যুবদের বেকারত্ব দূর হবে।  এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী ১০০ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটেন এবং বর্ণিল আতশবাজি উপভোগ করেন।

প্রতিমন্ত্রী দেশবাসীকে মুজিব বর্ষ ও জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।  অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব আকতার হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ আসাদ/এসএম