ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ড্রয়ের আগে ফরহাদ-শফিউলের ঝলক

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ড্রয়ের আগে ফরহাদ-শফিউলের ঝলক

দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ছবি: কবির তুহিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : আগের দিন রাজশাহীর হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান। আজ শেষ দিনে সেঞ্চুরি করলেন ফরহাদ রেজাও। ফিফটি করলেন ‘বোলার’ শফিউল ইসলাম। পরে তার আসল অস্ত্র বল হাতেও নিলেন ৩ উইকেট। রাজশাহী ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচ অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে।

ওয়ালটন ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তর থেকে রাজশাহী বিভাগের প্রথম স্তরে ওঠা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। শেষ রাউন্ডের ম্যাচটা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। ৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী। আগামী মৌসুমে তারা প্রথম স্তরে খেলবে। প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকাকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে খুলনা বিভাগ ‘হ্যাটট্রিক’ শিরোপা জিতেছে।

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শান্তর ১৯৪ ও মিজানুরের ১৭৫ রানের সুবাদে তৃতীয় দিনেই রানের পাহাড় গড়েছিল রাজশাহী। ৫ উইকেটে ৪৬০ রান নিয়ে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আজ শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে তারা। মুশফিকুর রহিম ৩ ও জহুরুল ইসলাম ১ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন।

তবে মুশফিক ফিরেছেন দিনের শুরুতেই। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর ৫ রান যোগ করতেই তাসকিন আহমেদের বলে মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক।



বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক জহুরুলও। তিনি ওই তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান ২২ রান করে। ইনিংস বড় করতে পারেননি দেলোয়ার হোসেন (১১) ও তাইজুল ইসলামও  (৯)। রাজশাহীর সংগ্রহ তখন ৯ উইকেটে ৫৪৫ রান।

এরপরই ফরহাদ ও শফিউলের ঝলক। তাইজুল যখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন, ফরহাদের তখন ফিফটিই হয়নি। সেই ফরহাদ শেষ উইকেটে শফিউলের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়ার পথে তুলে নেন সেঞ্চুরি।

১৩৫ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফরহাদ। আর শফিউল করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৫১ বলে ১২ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ রান করেন ফরহাদ। শফিউল ৮৪ বলে ১১ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। রাজশাহী তোলে ৬৬৮ রান। ঢাকা মেট্রোর নিহাদুজ্জামান ৪টি ও তাসকিন নেন ৩টি উইকেট।



৩৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শফিউলের তোপে পড়ে ঢাকা মেট্রো। ২২ রানের মধ্যে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে হারের শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল তারা। দুই ওপেনার শামসুর রহমান (০) ও সাদমান ইসলামকে (১০) বোল্ড করেন শফিউল। তার বলেই মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল (৮)।

চতুর্থ উইকেটে ৪১ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব মেহরাব। তবে ১০ বলের মধ্যে মার্শাল (২৬) ও আসিফ আহমেদের (৪) বিদায়ে আবার পরাজয় চোখ রাঙাছিল ঢাকা মেট্রোকে। মেহরাব ও সৈকত আলীর ব্যাটে ম্যাচ বাঁচিয়েছে তারা। ম্যাচ ড্র হওয়ার আগে ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ বলে ৪৫ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন এই দুজন। মেহরাব ৩৬ ও সৈকত ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

৬ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শফিউল। ৫ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন দেলোয়ার। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিতে ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে সাফল্য পাননি।



১৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত হয়েছেন ম্যাচসেরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়