ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘বাণিজ্যিক অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে হবে’

মিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৮, ৪ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাণিজ্যিক অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান বাণিজ্যিক অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

 

শনিবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অনুষ্ঠিত ইনভেস্ট ত্রিপুরা শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ গুরুত্ব আরোপ করেন শিল্পমন্ত্রী।

 

দ্য অ্যাসোসিটেড চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

 

আমির হোসেন আমু বলেন, স্থল বন্দরগুলোতে আধুনিক লজিস্টিক ও গুদাম সুবিধা গড়ে তোলার পাশাপাশি ম্যানুয়াল কাস্টমস কার্যক্রমের পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারেন্স পদ্ধতি চালু করতে হবে। বন্দর সংলগ্ন স্থানে মান সম্পর্কিত পরীক্ষাগার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তার অজুহাতে পণ্য পরীক্ষণের নামে অযথা সময় ক্ষেপনের প্রবণতা পরিহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

 

সম্মেলনে ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং, ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী তপন চক্রবর্তী, ভারতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক মাঝারি ও ভারি শিল্পের অংশীদার হতে ইচ্ছুক। শিল্পায়নে ভারতীয় ব্যবসায়ী সমাজ এগিয়ে এলে, দুই দেশের মাঝে বিরাজমান বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা কমে আসবে।

 

তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পণ্যের গুণ ও মান সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, সমন্বিত আন্তঃসীমানা ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং প্যারাট্যারিফ ও ননট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা পরিহারের জন্য দুই দেশের পক্ষ থেকেই আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে কার্যকর কানেকটিভিটি জোরদারে বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে নতুন সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/ল্যান্ড পোর্ট স্থাপন ও পুরাতনগুলো পুনরায় চালু হচ্ছে। ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং বাংলাদেশের আখাউড়া ও ভারতের আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। এ ছাড়া রামগড়-সাব্র’ম এবং দিমাগিরিতে গামুখ বর্ডার পয়েন্টের উন্নয়ন কাজও এগিয়ে চলছে।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (সাফটা) কার্যকর হলে, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারিদের উৎপাদিত পণ্য ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপানসহ অধিকাংশ উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগকারিরা ১০০ শতাংশ ইকুইটি ওনারশিপ ভোগ করছে এবং তারা মুনাফার শতভাগ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারছেন।

 

বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারিদের জন্য ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে। পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

 

তিনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, সফটওয়্যার নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, জাহাজ নির্মাণ, হিমায়িত মৎস্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, প্লাস্টিক, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, পর্যটন ও বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং, অটোমোবাইল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি নবানয়যোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ গবেষণাসহ উদীয়মান খাতগুলোতে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মন্তব্য করেন।

 

এ বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তিনি দুই দেশের শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ জুন ২০১৬/মিথুন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়