ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঢাকা-বরিশাল রুট

গ্রিনলাইনের যাত্রী হয়রানি, বিপাকে হাজারো যাত্রী

এম এ রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রিনলাইনের যাত্রী হয়রানি, বিপাকে হাজারো যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৫ ঘণ্টায় যাত্রীদের নিরাপদে ও আরামদায়কভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার শ্লোগান নিয়ে ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রা শুরু করেছিল গ্রিনলাইন ওয়াটারওয়েজ।

 

শুরুতে গ্রিনলাইনের সেবা নিয়ে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও এখন এই পরিবহনের সেবা নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের হতাশা ও ক্ষোভ বেড়েছে।

 

বিশেষ করে, ঈদ আসলেই যেন গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ভালো সার্ভিস দিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। গত ঈদুল আজহার মতো এবার ঈদুল ফিতরে বুকিং করা যাত্রীদের টিকিট ফেরত দিয়েছে গ্রিনলাইন। অথচ মাত্র কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর।

 

ঈদ উপলক্ষে বুকিং নেওয়া ২ ও ৩ জুন ঢাকা থেকে বরিশালগামী কয়েক হাজার যাত্রীকে টিকিট ফেরত দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন টিকিট বুকিং করা এসব যাত্রী।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বরিশাল যাওয়ার জন্য টিকিট বুকিং দিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সামিরা আহমেদ নামের একজন যাত্রী।

 

রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমি গ্রিনলাইনের বাড্ডা এলাকার অফিস থেকে ২ জুন ও ৬ জুন বিকেলে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য বিজনেস ক্লাসের ৬টি সিট বুকিং দেই। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল (৩০ জুন) সন্ধ্যায় ফোন করে আমাকে জানানো হয়- ইঞ্জিনে সমস্যা হওয়ায় ওয়াটার বাস যাবে না। টিকিট ফেরত নিয়ে যান।

 

ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই যাত্রী বলেন, শেষ মুহূর্তে টিকিট ফেরত নিতে বলে তারা আমাদের বিপদে ফেলেছেন। কারণ, এখন লঞ্চের কেবিন পাওয়া যাবে না। পরিবার নিয়ে কীভাবে বাড়িতে যাব, বুঝতে পারছি না।

 

গ্রিনলাইনের অফিসগুলো ঘুরেও যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। প্রতিটি যাত্রীই কর্তৃপক্ষের সার্ভিস নিয়ে হাতাশা প্রকাশ করেছেন।

 

মামুন নামের অপর এক যাত্রী রাইজিংবিডিকে বলেন, গ্রিনলাইনের এমন আচরণ নতুন নয়। গত কোরবানির ঈদেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ঘাটে এসে ফেরত যেতে হয়েছে। তারা আমাদের টাকা ফেরত দিলেও ঈদের আগমুহূর্তে এমন আচরণে আমাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। এবারও একই ঘটনা ঘটল। অন্তত কয়েক হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।

 

যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রিনলাইনের কল সেন্টার (০১৭৩০০৬০০৭২) থেকে বলা হয়, আমাদের ওয়াটার বাসের ইঞ্জিনে সমস্যা হওয়ায় যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২ ও ৩ জুনের গ্রিনলাইনে ৬৫০ জন যাত্রী বুকিং দিয়েছিল। তাদের টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেন।

 

যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে ইনচার্জ মাহমুদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘এমভি গ্রিন লাইন-২ ও এমভি গ্রিন লাইন-৩ নামের দুটি ক্যাটামেরনের (জাহাজ) যাত্রা শুরু করে। বিমানের আদলে গড়া এ জাহাজে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ৭০০ টাকা এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া ১০০০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৮টা ও বিকেল ৩টায় জাহাজ দুটি চলাচল করে।

 

 

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জুলাই ২০১৬/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়