ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে : স্পিকার

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বস্ত্র শিল্পের বিকাশের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হয়েছে, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের। আন্তর্জাতিক মেলার মাধ্যমে এ ধরনের শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে। ফলে দক্ষ মানবশক্তি বৃদ্ধি পাবে। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের অর্জন জাতির জন্য অনুপ্রেরণা।

বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কনফারেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এবং সেমস গ্লোবালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৯তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’, ‘১৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৮’ এবং ‘৩৩তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, এফবিসিসিআইর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রুদ্র চ্যাটার্জি।

স্পিকার বলেন, সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে উৎসাহিত করে নীতিমালা প্রণয়নসহ কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নের ফলে শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গার্মেন্টস শিল্প জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রতি বছর ৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সে কারণে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের প্রসারে সরকার কার্যকর সহায়তা করছে, যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। নির্ধারিত তিনটি ক্যাটাগরির মানদণ্ডের ক্রমধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে।

বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন স্পিকার। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সব ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সেমস গ্লোবালের এমডি মেহেরুন এন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাবৃন্দ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়