সমন্বিত জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়নের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন, সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পূরণ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে একটি সমন্বিত জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)।

মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আইবিএফবির একটি প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ তাগিদ দেয়।

আইবিএফবির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, শিল্পনীতিতে নতুন অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সুযোগ বের করতে হবে। পাশাপাশি একে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি আইনি রূপ দিতে হবে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশীদ, প্রাক্তন সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, পরিচালক মতিউর রহমান, লুৎফুন্নিসা সাউদিয়া খান, আলী আফজাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মুজিবুর রহমান, আনোয়ার শহিদ, ইকবাল হোসেন, সাজেদুর সিরাজ, তৌহিদা সুলতানা, উৎপল কুমার দাস, অজয় শঙ্কর পারিয়াল, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, হেলাল আহমেদ চৌধুরী ও প্রীতি চক্রবর্তী।

বৈঠকে আইবিএফবির নেতারা ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, শিল্প খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসার সুযোগ সহজ করতে হবে। শিল্প কারখানা স্থাপনে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের পরিবর্তে শুধুমাত্র শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সকল বিষয়ে অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর করতে হবে।

শিল্প খাতে অর্থায়নের জন্য সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণের ব্যবস্থা করতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইবিএফবির নেতারা।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ঊর্ধ্বমুখী। বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে সরকার ইতোমধ্যে বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশে বড় বড় বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। তারা বিনিয়োগ প্রসার এবং রুগ্ন শিল্প পুনরুদ্ধারে সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা সেবা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা প্রবাসী বাংলদেশিদের জন্য বিনিয়োগ সহায়ক নীতিমালা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। দেশে শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। শিল্পায়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকা মুখ্য। বেসরকারি খাত নতুন নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারে।

এ সময় তিনি ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়াসহ শিল্প খাতে বিরাজমান পুঞ্জীভূত সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়, উল্লেখ করে পর্যায়ক্রমে এগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/নাসির/রফিক