জামায়াতকে দিয়ে বিএনপির কবর রচনা হবে : নানক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জামায়াতকে দিয়েই বিএনপির কবর রচনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীর কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত দলীয় সভাপতি ‘শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াত ছাড়া যাবে না, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে যুবলীগের প্রাক্তন এই চেয়ারম্যান বলেন, জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী। জামায়াতের কারণেই জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাতেও শিক্ষা হয় না। জামায়াতকে দিয়েই বিএনপির কবর রচনা হয়েছে এবং চূড়ান্ত কবর রচনা হবে।

বিএনপি অফিসে ছাত্রদলের তালা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির নেতাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রদলের ছেলেরা বিএনপির অফিসেই তালা দিয়েছে, তারপরও আপনাদের লজ্জা হয় না।

তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত জামায়াতে ইসলাম ও জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। শুধু নিশ্চিহ্ন করতে চায়নি, আওয়ামী লীগকে খণ্ড-বিখণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়ে ছিল তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এক/এগারোর প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, সে সময়ে আমরা যুবলীগের অফিসে ভিন্নতা সৃষ্টি করেছিলাম। যারা আজকে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদেরকে নিয়ে সে সময়ে আমরা অসাধ্যকে সাধন করতে পেরেছিলাম। প্রত্যেকটি যুবলীগের নেতাকর্মী সে সময়ে কঠিন অবদান রেখেছে।

‘এক-এগারোর ঘটনা সঙ্গে আমরা দেশত্যাগ করিনি, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলাম। বর্তমান যুবলীগের চেয়ারম্যান সেই সময়ে নেত্রীর শেখ হাসিনার তথ্য ও পরামর্শগুলো আমাদের কাছে পৌঁছে দিত।’

সভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এক-এগারোর সময় আমাদের অনেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে নানাভাবে আহত হয়েছে। এতে অনেকের এখন মান-অভিমান আছে। কিন্তু যাই হোক, কী পেয়েছি, কী পেলাম না তার হিসাব করে কোনো লাভ নেই। অতীত আমাকে শিক্ষা দেয়, কিন্তু ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা আল্লাহর ব্যাপার।

যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মির্জা আজম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান, আবদুস সাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা উত্তর যুবলীগের সভাপতি মইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।




রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৯/‌রেজা/রফিক