ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার ধর্ষণ মামলা পুনঃতদন্তের আদেশ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১২ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার ধর্ষণ মামলা পুনঃতদন্তের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মতিঝিলস্থ করপোরেট শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এ এস এম কামরুল হাসানের ধর্ষণের মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

একই অফিসের এক সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের ওই মামলায় বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম শামসুন নাহার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে মামলাটি নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের ইন্সপেক্টর মোসা. রোজিনা বেগম তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে গত ১৬ মে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার নারাজি দাখিল করেন ভিকটিম ধর্ষিতা বাদি। ট্রাইব্যুনাল ওই নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ভিকটিম বাদি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা ইচ্ছা করে আসামি গ্রেপ্তার করেন নাই।  তিনি অবৈধ সুবিধা নিয়ে তড়িঘড়ি করে মাত্র এক মাসের মধ্যে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তিনি তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও ব্যাংকেও যাননি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হতো।’

চলতি বছর ৪ এপ্রিল ভিকটিম রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের করপোরেট শাখায় চাকরির সুবাদে একই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এ এস এম কামরুল হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে ওই পরিচয়ের সুবাদে আসামি বাদির ফেসবুকে অ্যাড হন এবং তাদের মধ্যে চ্যাটিং ও বন্ধুত্বসুলভ কথাবার্তা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে মর্মে জানিয়ে বাদিকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দেন। বাদি রাজি না হলেও আসামি বাদিকে বিভিন্নভাবে ফুসলাতে থাকেন এবং বিয়ে করার আশ্বাস দেন। আসামি বিবাহ করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ায় বাদি আসামির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান। এরই এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামি বাসায় পারিবারিক অনুষ্ঠানের কথা বলে দাওয়াত দিয়ে বাদিকে বাসায় নিয়ে যান। বাদি বাসায় গিয়ে অন্য কাউকে না দেখতে পেয়ে চলে আসতে গেলে আসামি বাদিকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়েও আসামি বাদির সাথে একইভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও বিবাহ করেনি। বিবাহের চাপ দিলে এবং এ বিষয়ে অফিসে লিখিত অভিযোগ করলে বাদির বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৯/মামুন খান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়