ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঢাকার বাতাস সাভার-রংপুরের চেয়ে কম দূষিত

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৭ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকার বাতাস সাভার-রংপুরের চেয়ে কম দূষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেগাসিটি ঢাকার বাতাস দূষিত বলে সবাই জানি। কিন্তু সর্বশেষ প্রকাশিত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে, রাজধানীর চেয়ে অন্তত আরো দুটি শহরের বাতাস বেশি দূষিত। এগুলো হচ্ছে সাভার এবং রংপুর।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান মানমাত্রা মনিটরিং স্টেশন এ তথ্য জানিয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ১১৫। আর সাভারের ইনডেক্স দেশের সর্বোচ্চ ১৩৫ এবং রংপুর শহরের ১২৮।

তথ্য পর্যালোচনায় বলা যায়, এই তিনটি শহরের বাতাস এখনো সাবধানতা বা সতর্কীকরণ পর্যায়ে রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর বা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে কোনো শহরের বাতাসই দূষিত নয়। সাভারের বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের কিছুটা কাছাকাছি থাকলেও, ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে যেতে যে ইনডেক্স বা মান দরকার তার থেকে অনেক দূরে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড, লেড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও প্রলম্বিত বস্তুকণার কারণে বায়ু দূষিত হয়। ঢাকার চেয়ে দুটি শহরের বাতাসে এসব উপকরণের উপস্থিতি বেশি। দূষক প্যারামিটার পিএম ২ দশমিক ৫ ধরে এ হিসাব করা হয়।

অন্যান্য শহরের মধ্যে বায়ুর মানমাত্রা চট্টগ্রামে ৩৫, গাজীপুর ৮৩, নারায়ণগঞ্জ ৮৫, সিলেট ৩৯, বরিশাল ৩৯, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা ২৭।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ জানান, নিয়মিত বায়ুমান মনিটরিংয়ের জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে তাদের ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪টি (ফার্মগেট, সংসদ ভবন, দারুস সালাম ও সাভার), চট্টগ্রামে ২টি; খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে ১টি করে সার্বক্ষণিক বায়ু মনিটরিং স্টেশন রয়েছে।

স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ বিবেচনায় বায়ুমান মানমাত্রার পরিমাণ শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে মধ্যম, ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাবধানতা/সতর্কীকরণ, ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

বায়ুমানের হিসাবে রাজধানী ঢাকা, সাভার এবং রংপুর শহরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের স্থান সাবধানতা/সতর্কীকরণ পর্যায়ে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ মধ্যম। স্বাস্থ্য উদ্বেগ সবচেয়ে কম কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। এছাড়া, স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ কমের শহরের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল।

এদিকে, অধিদপ্তর বলছে- পরিবেশসম্মত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২০৩০ সালে মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বায়ুদূষণ আরো চার শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। যদি কোনো দাতা সংস্থা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করে তবে তা ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলেও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে রাখা হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্র আরো বলছে, বায়ুদূষণের জন্য মূলত গাড়ির কালো ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া এবং উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ বিশেষভাবে দায়ী। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন ভারী শিল্প কারখানায় বায়ু পরিশোধন ব্যবস্থা রাখার বাধ্যবাধকতা রেখেছে। যারা এসব নিয়ম মানছে না তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুন ২০১৯/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়