ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘মানসম্পন্ন বীজে বেশি ফলন সম্ভব’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৭ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মানসম্পন্ন বীজে বেশি ফলন সম্ভব’

জ্যেষ্ঠ প্র‌তি‌বেদক : ‘মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫-২০ ভাগ বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজি অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চাহিদা মাফিক মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।’

বৃহস্পতিবার দুপু‌রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দীন আহমেদ এসব কথা বলেন।

তি‌নি ব‌লেন, এবারের বীজ মেলার প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে মানসম্মত বীজের ব্যবহার’। ফসল উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। এজন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি ও নীতি বাস্তবায়ন করছে। ফলে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব‌লেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে, যার ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে মানসম্মত বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত স‌চিব ব‌লেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় গত দশ বছরে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, তেল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের মানসম্মত বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টনের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯২২ মেট্রিক টন, যা দেড় গুণের বেশি।

তি‌নি ব‌লেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১২ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টনের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ৪ হাজার ২৫৮ টন, যা মোট চাহিদার ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ। রপ্তানিকৃত বীজের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৩৩ মেট্রিক টন। গত পাঁচ বছরে আমদানির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। হাইব্রিড সবজির বীজের চাহিদার প্রায় সবটুকু বেসরকারি সংস্থা মিটিয়ে থাকে।

আশরাফ উদ্দিন ব‌লেন, বর্তমানে দেশে ফরমাল সেক্টরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ মানসম্মত বীজ চাষি পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। প্রধান দানাশস্য ফসল ধান ও গমের ক্ষেত্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহ যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ ধান বীজের ক্ষেত্রে মৌসুম ওয়ারী বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে মানসম্মত বীজের সরবরাহ হার যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ৫৯.৯৮ শতাংশ ও ২৯.৭২ শতাংশ।

জাতীয় বীজ মেলা-২০১৯ আগামীকাল ২৮ জুন শুক্রবার থেকে ৩০ জুন রোববার পর্যন্ত চলবে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুন ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়