ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিমানের টিকিটের মূল্য কমানোর পরামর্শ হাইকমিশনারের

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৫ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিমানের টিকিটের মূল্য কমানোর পরামর্শ হাইকমিশনারের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: ‘ব্যাক ফর গুড’ বা বিফোরজি কর্মসূচির মাধ্যমে চার লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যারা আছেন, তাদের স্বল্পমূল্যে ফ্লাইট টিকিট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ফ্লাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহবান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।

দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় কুয়ালালামপুর - ঢাকা ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরুমে এ সম্পর্কিত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।   

অবৈধ অভিবাসী যারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার বিফোরজি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির নিয়মানুযায়ী ইচ্ছুকদের আগেই ফ্লাইট টিকিট ক্রয় করতে হবে এবং পরে ইমিগ্রেশনে আবেদন করতে হবে।

তাই ফ্লাইট টিকিট যেনো সহজে, স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ কর্মসূচি সফল করতে এয়ারলাইনসগুলো সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।

উল্লেখ্য, শুধু সরাসরি ফ্লাইট যেমন; কুয়ালালামপুর - ঢাকা বা জহুরবারু - কুয়ালালামপুর - ঢাকা বা পেনাং - কুয়ালালামপুর - ঢাকা ফ্লাইট টিকিট ইমিগ্রেশন গ্রহণ করবে।

সভায়, এ প্রোগ্রামের আওতায় কালোবাজারিদের দ্বারা যাতে সাধারণ কোনো কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান হাইকমিশনার।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকারের বিফোরজি প্রোগ্রাম ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। এ সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং নিশ্চিত (কনফার্মড) বিমান টিকিটসহ আবেদন করতে হবে। একইসঙ্গে জরিমানা ও স্পেশাল পাস বাবদ ৭শ’ রিঙ্গিত জমা দিতে হবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আবেদনের এক কার্যদিবসের মধ্যেই স্পেশাল পাস বা বহির্গমনের অনুমতি প্রদান করবে। অনুমতি প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া ত্যাগ করতে হবে।

এ কর্মসূচির কাজ প্রক্রিয়াকরণের কোনো তৃতীয় পক্ষ বা এজেন্ট নিযুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, কোনো মাধ্যম ছাড়াই আবেদনকারীকে সরাসরি নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে হাজির হয়ে আবেদন করতে হবে। যদি কেউ তৃতীয় পক্ষ বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রদান করে, তাহলে জেল-জরিমানা হতে পারে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৯/হাসান/হাকিম মাহি  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়