ঘরমুখো মানুষের স্রোত, গলাকাটা ভাড়া আদায়
মেহেদী হাসান ডালিম : ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঘরে ফেরা মানুষের স্রোত রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীতে।
শুক্রবার ভোর থেকেই বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। কিন্তু সেখানে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে দেখা গেছে।
টার্মিনালে লোকাল ও গেটলক বাসগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড়। গাড়ি ধরতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। মানুষের ঢলের সুযোগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও নির্ধারিত ভাড়ার চার্টের বাইরে নিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া।
গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে, বাস কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে স্বাভাবিক ভাড়ার থেকে দুই তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে।
কথা হয় গাবতলী থেকে পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী পদ্মা লাইন বাসের যাত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘১০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। কী আর করব, বাড়ি তো যেতেই হবে।’
একই রুটে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহনকেও ১০০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লোকাল বাসগুলোও বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
সিলভার লাইন নামে একটি লোকাল পরিবহনকে পাবনাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকার জায়গায় ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
যাওয়ার অন্য উপায় না পেয়ে সিলভার লাইনে উঠেছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক রাজমিস্ত্রী। তিনি বাসের কন্ডাক্টরকে অনুরোধ করে বলেন, ‘ভাই আমি গরিব মানুষ। ভাড়াটা একটু কম নেন।’
কিন্তু ভাড়া কম নিতে নারাজ বাসের কন্ডাক্টর। তিনি বলেন, ‘এক হাজার টাকার এক পয়সাও কম নিতে পারব না। ভাড়া দিতে না পারলে নেমে যান।’ নিরুপায় হয়ে জাহাঙ্গীর এক হাজার নোট বাড়িয়ে দেন।
রাইজিংবিডি/ ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৯/মেহেদী/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন